সংসদ ভবনে আগুন লাগিয়ে বাজেট পাস রুখে দিলেন গুয়াতেমালার জনগণ
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: গত সপ্তাহে ১৬০ জনের সংসদে ১১৫টি ভোট পেয়ে পাস হয়েছিল মধ্য আমেরিকার ছোটো দেশটির বাজেট। সে বাজেট ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়ো। ১৩ বিলিয়ন ডলারের। বাকি ছিল শুধু প্রেসিডেন্টের সই। সেটা আটকে গেল গণ বিদ্রোহে।
গত শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সবচেয়ে বড়ো বিক্ষোভ সংগঠিত হয় রাজধানী গুয়াতেমালা সিটিতে। হিংসাত্মক চেহারা নেয় বিক্ষোভ। সংসদ ভবনের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে পরিকাঠামোয় বিশাল বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আসলে বড়ো পুঁজিপতিদের পকেটে যাবে। বিশেষত করোনা কালে সরকারি হাসপাতাল তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা। ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার, মারা গিয়েছেন ৪২০০ জন। প্রতি হাসপাতালে রোগীর ভিড় উপছে পড়ছে। গরিব মানুষকে আর্থিক সাহায্যও করা হয়নি তেমন।
প্রেসিডেন্ট জিয়ামেত্তি গোটা বিক্ষোভকে ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ’ বলে চিহ্নিত করলেও রবিবার বিকেলে পাস হওয়া বাজেট প্রেসিডেন্টের সইয়ের জন্য পাঠানো হবে না বলে ঘোষণা করেন সংসদের অধ্যক্ষ অ্যালান রডরিগেজ। তার সঙ্গে ছিলেন ১৬ জন বিরোধী সাংসদ। যদিও স্পিকারের এই অধিকার আদৌ দেশের আইনে আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি এই পাস হওয়া বাজেটের ভবিষ্যৎ কী, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাতে কি কিছু পরিবর্তন করা হবে নাকি নতুন বাজেট তৈরি হবে, তার উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে।