ক্যাথলিক গির্জা ও সরকারকে নিশানা, গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের পথে চার লক্ষ মানুষ
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পোল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী সরকার গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ব্যাপক বিক্ষোভ মহিলাদের। ২২ শে অক্টোবর সংবিধানিক ট্রাইব্যুনাল ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটিগুলির ক্ষেত্রেও গর্ভপাতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। পোল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী জারোস্লা কাৎজেনস্কি এই বিক্ষোভকে পোল্যান্ডকে ‘ধ্বংস’ করার প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন। এই বিক্ষোভ দমন করার পাশাপাশি ক্যাথলিক চার্চকে “রক্ষা” করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাতে সারা দিয়ে উগ্র দক্ষিণপন্থী দল মার্স্জ নিপোডলেগ্লোসি (স্বাধীনতা মার্চ) জানিয়েছে ক্যাথলিক চার্চ এবং গির্জার ভবনগুলিকে দাঙ্গা থেকে রক্ষা করতে একটি “জাতীয় প্রহরী বাহিনী” তৈরি করবে তারা। তাদের নেতা রবার্ট বাকিউইকসের মতে পোল্যান্ড ‘নিও-বলশেভিক বিপ্লবের’ পরিস্থিতিতে রয়েছে।
আদালতের রায় ক্যাথলিক চার্চ, ক্ষমতাসীন দল পিআইএস এবং অন্যান্য উগ্র ডানপন্থী রক্ষণশীল দলের গর্ভপাত সংক্রান্ত মতামত কেই পোলিশ সমাজের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীদের নিশানা ক্যাথলিক চার্চ। গির্জার সামনে অবস্থানের পাশাপাশি বিভিন্ন শহরে গির্জাগুলিতে প্রার্থনা ব্যাহত করতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ওয়ারশতে ক্যাথেড্রাল সহ বেশ কয়েকটি গীর্জা ভবনের দেওয়ালে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে স্লোগান লিখে দেয় বিক্ষোকারীরা।
পোল্যান্ড জুড়ে বিভিন্ন শহরে রাস্তার বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। রাজধানী ওয়ারশ তে বিক্ষোভকারীরা ‘এটি যুদ্ধ’ বলে স্লোগান দেয়। মহিলাদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জন্ম দিতে বাধ্য করা এই আইনের প্রতিবাদে পোল্যান্ড জুড়ে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন শ্রমজীবী মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের সাথে সংহতিতে সরকারী প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি সংস্থার মহিলা ও পুরুষ কর্মচারীরাও কর্মক্ষেত্রে গরহাজির থেকেছে। বৃহস্পতিবার, দেশজুড়ে আনুমানিক ৪০০,০০০ মানুষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি,”আমরা শেষ অবধি লড়াই করার জন্য প্রস্তুত।”