পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: রাজ্যে নতুন একটি নিরাপত্তা বাহিনী তৈরির বিজ্ঞপ্তি জারি করল উত্তর প্রদেশ সরকার। এই বাহিনী কোনো পরোয়ানা ছাড়াই যে কোনো লোককে গ্রেফতার করতে পারবে এবং তল্লাশি চালাতে পারবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে গত জুন মাসে এই বাহিনী তৈরির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এই বাহিনীর দায়িত্ব হবে সরকারি ভবন ও দফতর, আদালত, বিমানবন্দর, ব্যাঙ্ক, আর্থিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কারখানা পাহাড়া দেওয়া।
উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, তাদের অনুমতি ছাড়া আদালত এই বাহিনীর কোনো আধিকারিক বা কর্মীর ওপর নজরদারি চালাতে পারবে না। কোনো আধিকারিক চাইলে যে কোনো ব্যক্তিকে আটক বা তার সম্পত্তিতে তল্লাশি চালাতে পারেন, যদি তিনি মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনো অপরাধ করেছেন।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ অবস্থি জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশককে এই বিশেষ বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প”। তার দাবি, হাই কোর্ট একটি রায়ে বলেছিল, আদালতের সুরক্ষার জন্য বিশেষ বাহিনী থাকা দরকার, তার ভিত্তিতেই এই বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে।
অবস্থি জানান, এই বাহিনীতে প্রায় ১০ হাজার কর্মী থাকবে। প্রথম দফায় রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহা নির্দেশকের অধীনে পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হবে। প্রথম দফায় খরচ হবে ১,৭৪৭ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আদালত চত্বরের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করে। বিজনোর জেলার আদালতে তিন ব্যক্তি ঢুকে এক খুনের অভিযুক্তকে হত্যা করে। ঘটনায় আদালতের এক কর্মচারী ও এক পুলিশকর্মী আহত হন। তার পরের দিনই সরকারকে ভর্ৎসনা করে উচ্চ আদালত। ২০১৫ সালে মুজফ্ফরনগরের এক আদালতে এক সশস্ত্র ব্যক্তি আইনজীবীর ছদ্মবেশে ঢুকে গ্যাংস্টার ভিকি ত্যাগীকে হত্যা করে।
ওয়াকিবহাল মহলের দারণা, আদালতের সুরক্ষার অছিলায় গণ আন্দোলন দমনের জন্যই এই অগণতান্ত্রিক বাহিনী তৈরি করেছে যোগী সরকার। গণ আন্দোলনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা, কারখানার সম্পত্তি ও তার মালিকের সম্পত্তির ওপর আক্রোশ ঢেলে দেয় আন্দোলনরত শ্রমিকরা। তাদের আতঙ্কিত করা ও হেনস্থা করার জন্যই এই বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।