পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়া জেলার বায়লাডিলা এলাকার কিরান্দুল থানার গুমিয়াপাল গ্রাম পঞ্চায়েত। কয়েক বছর আগে সেখানকার পাহাড়ি গ্রাম আলনারের খনি থেকে লোহা উত্তোলনের বরাত দেওয়া হয় আরতি স্পঞ্জ আয়রন সংস্থাকে। কিন্তু মাওবাদীদের ভয়ে খনির কাজ শুরু করেনি সংস্থাটি। সম্প্রতি এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করতেই বসানো হয়েছে ওই শিবির। এই শিবির ও খনির প্রতিবাদে মিছিল-সভা করে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসীরা।
আশেপাশের তিনটি জেলার কয়েক হাজার গ্রামবাসী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের বক্তব্য, এর আগে হিরোলি গ্রাম পঞ্চায়েত ভুয়ো গ্রাম সভা দেখিয়ে সেখানে খনির অনুমোদন জোগাড় করেছিল।পরে গ্রামবাসীদের আন্দোলনে সেই গ্রামসভা বাতিল হয়। আলনারের খনির ক্ষেত্রেও গুমিয়াপাল গ্রাম পঞ্চায়েত একই ভাবে ভুয়ো গ্রাম সভা দেখিয়েছে। সেটাও বাতিল করতে হবে। তপশিলি আইন অনুসারে দেশের যে কোনো আদিবাসী এলাকার মতো বস্তার অঞ্চলেরও যে কোনো জায়গায় জমি অধিগ্রহণ করতে হলে গ্রামসভা করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এলাকায় লোহার খনি হলে তাদের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন আদিবাসীরা।
পুলিশ শিবির নিয়ে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তারা পুলিশের বিরোধী নয়। তবে পুলিশের সঙ্গে এক সঙ্গে থাকতে তাদের আপত্তি আছে। কারণ পুলিশ, আদিবাসীদের মাওবাদীর নাম করে ধরে অত্যাচার করে। তাছাড়া পুলিশের কাজ জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া। বড়ো সংস্থার হয়ে জমি অধিগ্রহণ করা তাদের কাজ নয়।