পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: যাদের ৩০ বছর চাকরি হয়ে গেছে বা ৫৫ বছর বয়স হয়ে গেছে, তেমন কর্মীদের মধ্যে অযোগ্যদের খুঁজে বের করার জন্য নির্দেশ দিয়ে গত ২৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, অযোগ্যদের তিন মাসের বাড়তি বেতন বা তিন মাসের নোটিশ দিয়ে ছাঁটাই করা হতে পারে। তারপর দুদিন ছিল সপ্তাহান্তের ছুটি। তার পরের প্রথম কাজের দিনটিতেই শুরু হয়ে গেল ছাঁটাই। বোঝাই যাচ্ছে, নোটিশ জারি হওয়ার আগেই প্রাথমিক ছাঁটাই তালিকা তৈরি করেই রেখেছে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ দফতর। অনেকেরই আশঙ্কা, যোগ্যতা বাছাইয়ের নামে বিজেপি-বিরোধী কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের।
যে ভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু হল, সেটাও চমকপ্রদ। লোকসভা সেক্রেটরিয়টের এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হল কাজ থেকে। ৩১ অগস্ট এই নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে, ওই দিন বিকেল থেকে তাঁকে আর কাজ করতে হবে না। পাশাপাশি, আগামী তিন মাসে বেতন-সহ যে সব সুযোগ-সুবিধা পেতেন, সেই সবই তাঁকে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কাবেরি জয়সওয়াল নামের ওই কর্মী কাজ করতেন সংসদে। তিনি যুগ্ম ডিরেক্টর (ট্রান্সলেশন) পদে কর্মরত ছিলেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি অবসর জীবনে চলে যাবেন।
বেসরকারি সংস্থার মতো সকালে নোটিশ দিয়ে বিকেলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেনা কেউই। উল্লেখ্য, এই নির্দেশ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নতুন করে কোনো বিধি বানাতে হয়নি। ১৯৭২ সালে তৈরি একটি বিধিকে কাজে লাগিয়েই ২৮ আগস্ট ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে ১৯৭২ সালে বিধিটি তৈরি হলেও, তার প্রথ প্রয়োগ সম্ভবত কাবেরি জওসয়ালের উপরই হল।
স্বেচ্ছাচারিতার একটি নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত।