চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডাক্তারদের ধর্মঘট দক্ষিণ কোরিয়ায়, পুলিশের দ্বারস্থ সরকার
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: করোনা-অতিমারির মতো পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামি এক দশকে দেশে চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সে দেশের প্রায় ১৬০০০ ইন্টার্ন এবং আবাসিক চিকিৎসকেরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছে ২১ আগস্ট থেকে । ধর্মঘট ভাঙতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ধর্মঘটরত ডাক্তারদের কাজে ফেরত যাওয়ার বাধ্যতামূলক আদেশ জারি করে। সেই আদেশ অমান্য করায় ২৬ আগস্ট কমপক্ষে ১০ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে।
কোরিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার জানিয়েছে, সরকার তার নয়া নীতি বাতিল না করলে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। তাদের দাবি নতুন করে প্রচুর চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত পালটে সরকার বর্তমান প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকদের বেতন ও সুযোগসুবিধা বাড়ানোর জন্য অর্থব্যয় করুক। বিনিয়োগ করুক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কোভিড -১৯ সংক্রমণের হার নতুন করে লাফ দিয়ে বেড়েছে। ব্যাপক ট্রেসিং এবং পরীক্ষার মাধ্যমে অতিমারির শুরুতে করোনাকে সামলানো গেলেও, এই মাসে একটি গির্জার প্রার্থনা সমাবেশ বৃহৎ রাজনৈতিক সমাবেশে পরিণত হওয়ায় ফের ব্যাপক আকারে বেড়েছে সংক্রমণ। আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ৩৭১ টি নতুন সংক্রমণের রিপোর্ট করেছেন, যার ফলে দেশের মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯,০৭৭ । মৃতের সংখ্যা ৩১৬। তার জেরেই ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের কাজ যোগ দেওয়ার নির্দেশ জারি করে সরকার। চিকিৎসকরা কাজ যোগ না দেওয়ায় দশ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে ফৌজদারি মামলাও দায়ে করা হয় সরকারের তরফে।
ধর্মঘটের ফলে গভীর সংকটে পড়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা। তবে নির্দেশ মেনে কাজে যোগ না দিলেও ধর্মঘটি চিকিৎসকরা অতিমারি পরিস্থিতিতে অস্থায়ী কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে চলেছেন।
১০জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।