পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির কারবারে একটুও থাবা বসাতে পারেনি কোভিড অতিমারি। জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে তারা ৪৩টি চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে, যা ২০১৯ সালে তাদের মোট অস্ত্র ব্যবসার ৭০%। তার মধ্যে ১৫টি চুক্তিই হয়েছে জুলাইতে। ৩০ মার্চ থেকে ২৮ মে-র মধ্যে তারা ৭৫০ কোটি ডলারের আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছে।
গত বছর আমেরিকা ২৮টি দেশে অস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে ৭,০০০ কোটি ডলার মুনাফা করে। ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবও, যারা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধগুলির একটি করেছে ইয়েমেনে হামলা করে। এশিয়ায় আমেরিকা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে ভারত, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরের চিন-বিরোধী দেশগুলিকে।
অস্ত্র উৎপাদন ও বাজার আরও বাড়ানোর জন্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প, একের পর এক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যবহার কমানোর চুক্তিগুলি বাতিল করেছেন। তিনি প্রথম বাতিল করেন মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি। এই চু্ক্তির জেরে দুনিয়ার বহু পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছিল। একই সঙ্গে, ২০২১ সালের মধ্যে আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার শক্তিশালী করার জন্য ট্রাম্প ৪৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেন। অন্য যেসব চু্কিগুলি ট্রাম্প বাতিল করেছেন বা করতে চলেছেন, সেগুলি হল- ওপেন স্কাইস চুক্তি, আউটার স্কাইস চুক্তি, নিউ স্টার্ট চুক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ জমানা- অর্থাত পারমাণবিক ও অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদন, জুড়ে তৈরি করা(অ্যাসেম্বল)এবং পরীক্ষা কমিয়ে রাখার জন্য যে চুক্তিগুলো হয়ে রয়েছে, সেগুলো।
এসবের পাশাপাশি, জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়া উপদ্বীপের বহির্ভাগের জন্য ল্যান্ডমাইন তৈরি ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা ট্রাম্প বাতিল করেন এবং সেখানে ল্যান্ডমাইন ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেন। ১৯৯৭ সালে কানাডার ওটাওয়াতে মাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য একটি আন্তর্জাতক চুক্তি হয়েছিল, তাতে ১৬৪টি দেশ সই করে। জানুয়ারির এই নীতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প সেই চুক্তিটাও ভাঙলেন।