![ব্যাপক সাংবিধানিক সংস্কারের বিরুদ্ধে তিনদিন ধরে গণবিক্ষোভ ইন্দোনেশিয়ায়, ছবি, ভিডিও](https://peoplesmagazine.in/wp-content/uploads/2020/08/indonasia-cover.jpg)
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থে ঢালাও সংস্কারের প্রক্রিয়া গত শতকের নয়ের দশকে বিভিন্ন লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে সম্পন্ন হয়েছিল ১-২ বছরের মধ্যেই। ভারতে সেই প্রক্রিয়া মনমোহন সিং সরকার শুরু করলেও, বিশাল দেশের নানা শক্তির মধ্যেকার রসায়নের জন্য তা এগিয়েছে ধীর গতিতে। বাজপেয়ির আমলে কিছুটা গতি বেড়েছিল। তারপর আবার তা ধীরে চলতে থাকে। যদিও কখনওই থেমে থাকেনি। কিন্তু এই ধীর গতি মন্দায় আক্রান্ত বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে আজ আর মেনে নেওয়া সম্ভব না। তাই তারা সাম্প্রদায়িক বিজেপির মতো শক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, যারা ধর্মের সুড়সুড়ির আড়ালে সাম্রাজ্যবাদের কর্মসূচিগুলি কার্যকর করবে দ্রুত। গত ৬ বছরে মোদিশাহ-রা সেটাই করে চলেছেন। করোনা-লকডাউনের কালে তার গতি বেড়েছে অনেকগুন। ইন্দোনেশিয়ার শাসকরা এই কাজটাই করেছেন এক ধাক্কায়।
১৯৯৮ সালে বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে একনায়ক সুহার্তোর পদত্যাগের পর ২০০২ পর্যন্ত সে দেশে এক দফা রাজনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়া চলে। এবার হল তার দ্বিতীয় ধাপ। যার কেন্দ্রে রয়েছে অর্থনীতি। এবার সে দেশে একবারে সংবিধানের ৭৯টি আইন এবং ১২০০টি অনুচ্ছেদ পালটে দেওয়া হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওমনিবাস’। এই সংস্কারে শ্রম ও খনি আইন শিথিল করা হয়েছে। ব্যবসার অনুমতির প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে, পালটানো হয়েছে পরিবেশ আইনও। শ্রমিকদের নানা সুযোগসুবিধা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবসরকালীন সুবিধাগুলিও।
এই ব্যাপক প্রতিক্রিয়াশীল সংস্কারের প্রতিবাদে গত ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র ওনারী সংগঠনগুলি একই সঙ্গে দেশের ২০টি শহরে বিক্ষোভ দেখায়। রাজধানী জাকার্তার সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ হিংসাত্মক তীব্র আকার নেয়।