![সংকটের সুযোগে বিধ্বস্ত লেবাননে ফরাসি সাম্রাজ্যবাদকে শক্তিশালী করছে মাঁকর](https://peoplesmagazine.in/wp-content/uploads/2020/08/macron-in-lebanan.jpg)
পিপলস ম্যাগিজন ডেস্ক: ৪ আগস্ট ২,৭৫০টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণের পর গোটা লেবানন জুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন জঙ্গি রূপ ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই লেবাননে জোরদার সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। জনগণের দাবি দেউলিয়া হয়ে যআওয়া দেশটির সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে আরো স্পষ্ট করেছে। ৪ তারিখের বিস্ফোরণে ১৫৪জন নিহত হয়েছেন। আহত বহু। প্রায় ৩০০০০ মানুষ ঘরছাড়া।
বিস্ফোরণের দিনই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, এই দুর্দিনে ফ্রান্স লেবাননের পাশে দাঁড়াবে।৬ আগস্ট ইমানুয়েল মাঁকর লেবানন পৌঁছে যান। মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বেইরুটের পথে বেরিয়ে পড়েন। স্পষ্টতই সংকটের সুযোগ নিয়ে লেবানিজ জনগণের সরকার বিরোধী ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে হিরো সাজার চেষ্টা করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। পথে নেমে তিনি ঘোষণা করেন, লেবাননে আর্থিক সংস্কারের জন্য তিনি দায়বদ্ধ। এমনকি ফ্রান্স সেখানকার সরকারের সাথে নতুন রাজনৈতিক চুক্তি করেছে। এমনকি মাকরঁ এও বলেন যে, চুক্তি ঠিকমতো কার্যকর না হলে, তিনি ১ সেপ্টেম্বর লেবাননে ফেরত আসবেন।চুক্তি কার্যকর করার দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন। চুক্তিতে কী আছে বা দায়িত্ব নেওয়া বলতে মাঁকর কী বলতে চেয়েছেন, তা অস্পষ্ট। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে ফরাসি সাম্রাজ্যবাদ লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।
লেবাননের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকশ্রেণি ফরাসি সাম্রাজ্যবাদের অনুগত। ফলে সে দেশের দুরবস্থার জন্যে আসলে দায়ী ফরাসি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র। গত এক বছর ধরে টানা আন্দোলনে পোড় খেয়েছেন লেবাননের মানুষ। তাদের বোকা বানানো যাবে না। দেশের শাসক শ্রেণির পাশাপাশি, তারা ফরাসি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধেও অবশ্যই আন্দোলন তীব্র করবেন। তার চিহ্নও দেখা যাচ্ছে। মাঁকরের ঘোষণায় নিশ্চিত না হয়ে লেবানন জুড়ে রোজই পথে নামছেন হাজার হাজার মানুষ। রবিবার সরকারি ভবনে ঢুকে ভাঙচুরও চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।