পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পিইউসিএল, সিআরপিপি, এফওডি, বন্দিমুক্তি কমিটি, ভিম আর্মি, ইফটু, পিওয়াইএল, এআইপিএফ, আইসা, নো এনআরসি মুভমেন্ট,সংহতি উদ্যোগ, রিলিজ দ্য পোয়েট, আরএসএফ ও সারা বাংলা গণ প্রতিরোধ মঞ্চ। ১৪টি গণ সংগঠনের ডাকে প্রায় ৭৫জন মানুষ জড়ো হলেন বৃষ্টিভেজা দুপুরে। কলকাতা, মৌলালি যুবকেন্দ্রের বিপরীতে।
করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে বয়স্ক ও অসুস্থ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও কারাগারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ রক্ষা এবং অতিমারি থেকে বন্দিদের সুরক্ষিত রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার দাবিতে সরব হলেন তারা।
করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট দেশের জেলগুলি থেকে বন্দি কমানোর কথা বলেছিল। সে কথায় কর্ণপাত করেনি বিজেপি সরকার। বরং এই সময়কালেই সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারাভারা রাও, অখিল গগৈ, অমিতাভ বাগচি, শরজিল ইমামের মতো বহু বন্দি কোভিডে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। বহু জেলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলেও সরকার নির্বিকার। বরং কিছুদিন আগেই ভিমা কোরেগাঁও মামলায় জড়িয়ে দিল্লি গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানি বাবুকে ।
পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এক দশক আগে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও, এখনও এরাজ্যের দেলগুলিতে প্রায় ৭৫জন রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন। গত এক বছরে একের পর রাজনৈতিক বন্দি জেলের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। তার মধ্যে আছেন সুদীপ চোংদার, ইয়াদ আলি হালসানা, সুশান্তি শীল। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে মারা গিয়েছেন পতিতপাবন হালদার। করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারে মাস্ক, স্যানিটাইজার সরবরাহ করার দাবিতে আন্দোলন করায় মেদিনীপুর জেল থেকে বাঁকুড়া জেলে ট্রান্সফার করা হয়েছে রাজনৈতিক বন্দি কল্পনা মাইতিকে।
১৪টি সংগঠনের পক্ষ থেকে এইসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে এই বিষয়গুলি তুলে ধরার পাশাপাশি সকল কাশ্মীরি বন্দিদের মুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। ইউএপিএ, এলএসএ, পিএসএ, এনআইএ-র মতো অগণতান্ত্রিক আইন বাতিল করার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দলিত, মুসলমান ও আদিবাসিদের ওপর বাড়তে থাকা হিংসারও। ওই ঘটনাগুলিতে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে সংগঠনগুলি।
এদিনের প্রতিবাদ সভায় বন্দিমুক্তির কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ছোটন দাস, সিআরপিপি-র পক্ষ থেকে বলেন সঞ্চিতা মুখার্জি, পিইউসিএলের পক্ষ থেকে বলেন বাসুদেব মুখোপাধ্যায় এবং রিলিজ দ্য পোয়েটের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শুদ্ধব্রত দেব।