নিলামে চড়েছে দেশ। কোভিড আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিত ভাবে একের পর এক রাষ্ট্রীয় সম্পদ কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে। কয়লা, বিদ্যুৎ, খনিজ তেল, টেলিকম, প্রতিরক্ষা শিল্প, রেল– কোনটাই বাদ যাচ্ছে না। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফার এন ডি এ সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কাজের যে রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়,তাতে বলা হয়েছিল চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (পশ্চিমবঙ্গ), ইন্ট্রিগাল কোচ ফ্যাক্টরি (তামিলনাড়ু) সহ রেলের সাতটি প্রোডাকশন ইউনিটকে ভারতীয় রেলের নিয়ন্ত্রণ থেকে বাইরে এনে ‘ইন্ডিয়ান রোলিং স্টক কোম্পানি ‘ তৈরি হবে। সেটা ছিল ধাপে ধাপে নতুন কোম্পানিকে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থাগুলির অনুপ্রবেশের পথ প্রস্তুত করা ( বিস্তারিত বিবরণের জন্য বর্তমান নিবন্ধকারের,’চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানার আকাশে সর্বনাশের অশনি সঙ্কেত’, গ্রাউন্ডজিরো/জুলাই ১৮,২০১৯ দ্রষ্টব্য)।
অবশ্য রেলে বেসরকারিকরণের ভাবনা নতুন নয়। বহুদিন আগে থেকেই রেলের সাফাই ও ক্যাটারিং ব্যবস্থা বাইরের লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি তার দ্বিতীয় দফার শাসনকালে ভারতীয় রেলের বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে যে নীল নকশা প্রস্তুত করেছেন, তার উৎস লুকিয়ে আছে বিবেক দেবরায় কমিটির সুপারিশের মধ্যে। রেলের সংস্কারের রোডম্যাপ তৈরির জন্য গঠিত এই কমিটি তার চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে ২০১৫ সালের জুন মাসে। রিপোর্টের শিরোনাম : ‘ রিপোর্ট অব দা কমিটি ফর মোবিলাইজেশন অব রিসোর্সেস ফর রেলওয়ে প্রোজেক্টস অ্যান্ড রিস্ট্রাকচারিং অব রেলওয়ে মিনিস্ট্রি অ্যান্ড রেলওয়ে বোর্ড ‘। রেল কারখানাগুলোর কর্পোরেশন তৈরি হোক বা বর্তমান সময়ের সংস্কারগুচ্ছ– সবটাই বিবেক দেবরায় কমিটি অনুসারী।
রেলে বেসরকারিকরণের বর্তমান অঙ্কে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি হল ভারতীয় রেলের পরিকাঠামো ব্যবহার করে বেসরকারি কোম্পানিগুলির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত। ১ জুলাই (২০২০) রেলবোর্ডের ঘোষণা অনুযায়ী ১০৯ টি প্রান্তিক স্টেশন থেকে ১৫১ টি আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা যুক্ত ট্রেন বিভিন্ন কোম্পানি চালাবে। এর ফলে ৩০,০০০ কোটি টাকা রেলের ঘরে আসবে। প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেলে যাত্রী পরিষেবার মান উন্নত হবে, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। সরকার পক্ষের দাবি বছরে প্রায় ৫ কোটি যাত্রী উপযুক্ত আসন না পেয়ে ট্রেন সফর করতে পারে না, এই নতুন ট্রেন সেই সমস্যা মেটাবে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কোম্পানিগুলি যাত্রী ভাড়া স্থির করবে এবং তা অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক ( dynamic demand based pricing) হবে। রেল প্রশাসন আরো জানিয়েছে যে সরকারি রেল পরিষেবা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই কারণ ভারতীয় রেলের চালু ২৮০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ হবে এই ধরনের ট্রেন। রেল বোর্ড এই ট্রেনগুলি চালুর ব্যাপারে যে সময় সীমা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২৩-২৪ সালে ১২টি,২০২৪-২৫ সালে ৪৫টি,২০২৫-২৬ সালে ৪৪টি এবং ২০২৬-২৭ সালে বাকি ৫০টি ট্রেন চালু হবে। রেল চালানোর জন্য উৎসাহীদের কাছ থেকে আগ্রহ পত্র (Request for qualification) চাওয়া হয়েছিল। এই সংক্রান্ত প্রথম মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিল যে সমস্ত কোম্পানি তার মধ্যে রয়েছে বম্ববর্ডিয়ার, জিএমআর, ভারত ফোর্জ,ভেল,আইআরসিটিসি, গেটওয়ে রেল। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী আগামী দিনে টাটা ও আদানি গোষ্ঠীও এই পরিষেবায় প্রবেশ করতে পারেন।
এখন তথ্য ও যুক্তির আলোকে বেসরকারি অপারেটরদের হাতে রেল পরিষেবা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করা উচিত। প্রথম কথা হল এই ট্রেনগুলি চালাবার জন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলি কিন্তু ট্র্যাক, স্টেশন, সিগনাল প্রভৃতি পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে একটা টাকাও বিনিয়োগ করবে না বরং জনগণের করের টাকায় তৈরি পরিকাঠামো লাইসেন্স ফি দিয়ে ব্যবহার করে মুনাফা করবে। ট্রেন চালাবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দুই কর্মী অর্থাৎ ড্রাইভার ও গার্ড রেল জোগান দেবে। ভারতীয় রেল গাঁটের কড়ি খরচ করে যে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী বাহিনী তৈরি করেছে তা ব্যবহার করবে এই বেসরকারি কোম্পানিগুলি। এক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির গল্পটা আসলে ১৫০০০-২০০০০ টাকা মাসমাইনের চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারী। সেটাকেও যদি আমরা রেলের প্রস্তাবিত কর্মী সংকোচনের সঙ্গে তুলনামূলক বিচার করি তাহলে চাকরির বেলুনটা সহজেই চুপসে যাবে। একথা সবার জানা যে ভারতীয় রেল নেহাৎই এক মুনাফা অর্জনকারী সংস্থা নয় বরং গণ পরিবহণ ব্যবস্থায় সরকারের দায়বদ্ধতা। সেই কারণে আর্থিক ভাবে লাভজনক না হলেও বৃহত্তর স্বার্থে তাকে অনেক রুটে ট্রেন চালাতে হয়। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে সেই রুটগুলিকেই পরিষেবা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে যা আর্থিক ভাবে লাভজনক। এই রুটগুলি হল দিল্লি – হাওড়া,হাওড়া- মুম্বাই, দিল্লি – মুম্বাই, দিল্লি – গুয়াহাটি, দিল্লি – চেন্নাই, হাওড়া- চেন্নাই, মুম্বাই- চেন্নাই। অর্থাৎ প্রতিযোগিতার নামে ভারতীয় রেল তার লাভজনক করিডরগুলি বেসরকারি কোম্পানিগুলির হাতে তুলে দিচ্ছে। যারা ৫শতাংশের কথা বলে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন তাদের মনে করে দেওয়া যেতে পারে যে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণের গল্প প্রথমে ৫ থেকে ১০ শতাংশ দিয়ে শুরু হয় যা শেষ হয় ১০০ শতাংশে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ যাত্রীদের উপর এই বেসরকারি করণের প্রভাব কী পড়বে! শুধু মাত্র উচ্চবিত্তদের পরিষেবা দিতে গিয়ে কোপ পড়বে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ যাত্রীদের উপর। বহু ট্রেনকে চিরকালের মত বাতিল করে দেওয়া হবে এবং কম লাভজনক স্টেশনগুলিকে পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে যাতায়াত করে এমন ১৭ জোড়া মেল/ এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে যাদের মধ্যে রয়েছে হাওড়া- অমৃতসর, তুফান মেল,হাওড়া- রাজগির,কলকাতা – পটনা,শিয়ালদহ – সীতামারি প্রভৃতি। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে বেসরকারি ট্রেন চালানোর ড্রেস রিহার্সাল হিসাবে আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে তেজস স্পেশাল চালু হয়েছে। দেখা গেল লক্ষ্ণৌ- দিল্লি শতাব্দী এক্সপ্রেসে এসি চেয়ারকারের ভাড়া ৬৮০ টাকা কিন্তু ঐ একই রুটে বেসরকারি তেজস ট্রেনের ভাড়া ১৭০০ টাকা, অথচ দুটি ট্রেনের গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়কাল প্রায় একই। একদিকে সাধারণ ট্রেনের সংখ্যা কমবে অন্যদিকে চড়া ভাড়ার কারণে মধ্যবিত্তদেরও এই ট্রেনগুলি নাগালের বাইরে চলে যাবে। গরিব মানুষেরা তো আলোচনার বাইরে থাকবেন। গড়পড়তা হিসাবে এক্সপ্রেস ট্রেনে ভারতীয় রেল প্রতি ১০০০ কিমি যাত্রার জন্য ভাড়া ধার্য করে ৭০০-৯০০টাকা,সেখানে তেজসের অভিজ্ঞতা বলছে বেসরকারি ট্রেনের ক্ষেত্রে ১০০০ কিমি যাত্রার জন্য ভাড়া ধার্য হবে নূন্যতম ২২০০ টাকা। গত দশ বছরে রেল বোর্ড দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে যত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে তার ৭০ শতাংশ বাতানুকূল কোচ,বাকি ৩০ শতাংশ মাত্র স্লিপার কোচ। রেল বোর্ড প্রাইভেট অপারেটরদের এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে বেসরকারি ট্রেনগুলির যাত্রার ১৫ মিনিট আগে ও পরে কোন সরকারি ট্রেন চালানো হবে না, ফলে সাধারণ যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিত হবে।
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ কিভাবে এই সংস্কার প্রক্রিয়ার ফলে আক্রান্ত হবেন তার আরেকটি বড়ো উদাহরণ হল স্টেশনগুলির বেসরকারিকরণ। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ( পিপিপি) মডেলে ২৩ টি রেলস্টেশন নিলাম করে বেসরকারি দেশি বিদেশি সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেবে ভারতীয় রেল। যে কোম্পানিগুলি স্টেশনের দায়িত্বভার হাতে পাবে তারা ১৫ বছর ধরে রেলস্টেশনকে দেখভাল তথা আধুনিকীকরণ করবে। এর বদলে তারা ১৫ বছর ধরে স্টেশনের সমস্ত সম্পত্তিকে ভোগ করার লিজ পাবে। রেলের জমিতে বেসরকারি কোম্পানিগুলি শপিং মল, সিনেমা হল,হোটেল, স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলবে। প্রথম পর্বে কাজ শুরু করার জন্য ‘ইরকন ইন্টারন্যাশানাল লিমিটেড ‘ ও ‘ রেল ল্যান্ড অথরিটির ‘ যৌথ উদ্যোগে ‘ ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ‘ নামে এক কোম্পানি গড়ে তোলা হয়েছে। যে ২৩ টি স্টেশনকে নির্বাচিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কানপুর সেন্ট্রাল, এলাহাবাদ, উদয়পুর, হাওড়া, ইন্দোর প্রভৃতি। এক্ষেত্রে পাইলট প্রজেক্ট হাবিবগঞ্জ (ভূপাল) তৈরি করে ফেলেছে বনশল গ্রুপ। বিশ্বমানের পরিষেবার নামে এই সমস্ত স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট, পার্কিং ফি,খাবারের দাম ২০-২৫ গুন বৃদ্ধি করা হবে। ইতিমধ্যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ঘন্টা প্রতি টাকার বিনিময়ে ওয়েটিং লাউঞ্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্য দিকে স্থান সংকোচনের দোহাই দিয়ে বিনামূল্যের সাধারণ যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে ভারতীয় রেলকে ভিত্তি করে বেঁচে থাকা হাজার হাজার হকার স্টেশনে প্রবেশ করতেই পারবে না ফলে তাদের জীবন জীবিকা বিপন্ন হবে।
ভারতীয় রেলের সংস্কার প্রক্রিয়ার আরেকটি লক্ষ্য হল কর্মী সংকোচন। এটা সরকারের দীর্ঘ দিনের ঘোষিত লক্ষ্য এবং ধারাবাহিক ভাবে তারা তা করে চলেছে। বিগত বছরে রেলের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলির কর্পোরেটকরণের মাধ্যমে সে পথে অনেকটা অগ্রসর হয়েছিল মোদি সরকার। এবার সেই প্রক্রিয়াটিকে আরো সংহত করা হয়েছে। ওপেন লাইন রেলওয়েতে ৪ লাখ কর্মচারী সংকোচনের জন্য নন- সেফটি ক্যাটাগরিতে ৫০ শতাংশ পদ সারেন্ডার করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কর্মচারীদের ৫৫ বছর বয়স অথবা ৩০ বছর চাকরি (যেটা আগে) হলেই তাদের বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মী সংকোচনের লক্ষ্যে যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে তার গালভরা নাম ‘ মাল্টি স্কিলিং’। অর্থাৎ একজন কর্মচারীকে নানান ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন পদের কাজের জন্য উপযুক্ত করে তোলা। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় রেলের কমার্শিয়াল বিভাগে বিভিন্ন ধরনের পদ ছিল যেমন বুকিং ক্লার্ক, রিজার্ভেশন ক্লার্ক, টিকিট কালেক্টর, টিটিই —- এগুলিকে এখন একছাতার তলায় এনে একটাই ক্যাডার তৈরি করা হচ্ছে, লক্ষ্য পদের বিলুপ্তি। লকডাউনের সময় কম কর্মীতে অফিস চালানো যে আগামী দিনের অনুশীলন, একথা রেলকর্মচারীরা যত দ্রুত উপলব্ধি করবেন ততই মঙ্গল। এছাড়া বিবেক দেবরায় কমিটির সুপারিশ মেনে হাসপাতাল, সুরক্ষা, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলিকে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা পাকা। ৫ জুলাই (২০২০) রেলের রাঁচি ডিভিশনে ২৩ জন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নিযুক্ত করা হল। আগামী দিনে রেলওয়ে সুরক্ষা বল আদৌ থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
ভারতীয় রেলের এই সংস্কার পর্ব অতি অবশ্যই নব্বই-এর দশকে গৃহীত উদারীকরণ – বেসরকারিকরণ-ভুবনায়নের নীতির ধারাবাহিকতা, যা নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় পর্বের শাসনকালে আরো দ্রুত, সংগঠিত এবং আগ্রাসী। এই সংস্কার শুধু দেশের সম্পদকে কর্পোরেট হাঙরদের হাতে তুলে দিতে দায়বদ্ধই নয়,একই সঙ্গে তা উচ্চবিত্ত শ্রেণির স্বার্থানুসারী। রেলের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া উচ্চকন্ঠে সম্পদশালী শ্রেণির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করছে, একই সঙ্গে তা শ্রমজীবী মানুষের রেলযাত্রা আরো কঠিন করে তুলেছে।