পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে তৈরি হয় পাথালগড়ি আন্দোলন। ওই আন্দোলনে আদিবাসীরা বিভিন্ন গ্রামের সামনে পাথরের স্তম্ভ বসিয়ে সেখানে বাইরের লোকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। দাবি তুলেছিলেন আদিবাসীদের সায়ত্তশাসনের। তাদের দাবির স্বপক্ষে দেশের সংবিধানে লিপিবদ্ধ আইনকে তুলে ধরেছিলেন। দীর্ঘ দু’বছর ওই আন্দোলন চলে। ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলা পেরিয়ে তা পৌঁছে যায় অন্যান্য রাজ্যেও। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গনা সহ নানা রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে এর ছাপ পড়ে। তৎকালীন রাজ্যের বিজেপি সরকার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নানা মামলা করে। পরিবর্তীকে হেমন্ত সরেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আন্দোলনকারীদের ওপর থেকে যাবতীয় মামলা তুলে নেওয়া হয়। পাথালগড়ি আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন রাঁচির ববিতা কাছাপ।
শনিবার ববিতাকে গুজরাটের মাহিষাগর জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী স্কোয়াড। পাশাপাশি তাপি জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ভাই বিরসা ওড়াই ও সামু ওড়াইকে।পুলিশের দাবি, এই তিনজন গুজরাটে ঝাড়খণ্ডের ধাঁচে পাথালগড়ি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। ফোন ট্যাপ করে বীরসা ও সামুর সন্ধান পায় পুলিশ। সুরাটের কাছে তাপি জেলার ভ্যারা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।তারপর গ্রেফতার হন ববিতা। পুলিশের দাবি, এদের কাছে মাওবাদী সাহিত্য পাওয়া গেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঝাড়খণ্ডের একটি জনপ্রিয় হিন্দি দৈনিকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় ববিতার। তারপর কবে তিনি গুজরাট চলে গেলেন, তা কৌতূহল তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।