পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: সার্বিয়ার ৫টি শহরে গত মঙ্গলবার থেকে করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রের বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে জঙ্গি প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন জনগণ। বারবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধছে। নোভিস্যাড, নিস, ক্র্যাগুজেভক, স্মেদেরেভো-কে কিছু ছোটোখাটো প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। তবে ক্র্যাগুজেভকে থানায় পাথর ছোঁড়েন প্রতিবাদীরা। সবচেয়ে বড়ো প্রতিবাদ সংগঠিত হয় রাজধানী বেলগ্রেডে। হাজারা হাজার মানুষ পথে নামেন এবং সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হন। তারা সংসদে ঢুকে পড়ারও চেষ্টা করেন।
জনগণের অভিযোগ, সরকার করোনা মোকাবিলায় বাড়াবাড়ি করছে। বহু পথচলতি মানুষকে জরিমানা করা হচ্ছে, কয়েকজনকে দিনকয়েকের জন্য জেলেও পোরা হয়েছে। অথচ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল আর সরকারের দিক থেকে সাধারণ মানুষের জন্য যেসব সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির প্রয়োজন ছিল, সেগুলোও কিছু করা হয়নি।
গণতন্ত্র রক্ষার নামে শাসক শ্রেণি নিজেদের ক্ষমতাকে আইনসিদ্ধ করার জন্য কদিন আগেই দেশে নির্বাচন করিয়েছে। তখন যাবতীয় করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি পরিবারকে ১০০ ইউরো করে সাহায্য করার নামে টাকার লোভও দেখানো হয়। লক্ষ্য ছিল ভোট কেনা। ভোট মিটতেই এখন নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাতেই ক্ষেপে গেছেন মানুষ।
প্রতিবাদী মানুষ বলছেন সুস্বাস্থের জন্য ঘরে আটকে থাকতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু ‘এইসব বিধিনিষেধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বলবৎ করা হয়নি, এগুলোর লক্ষ্য আমাদের অত্যাচার করা’। প্রতিবাদে যোগ দেওয়া এক নার্সের কথায়, ‘ভোটের জন্য ওদের কাছে টাকা আছে, কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য ওদের কাছে টাকা নেই’।