Home খবর ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মাওবাদীদের তিনদিন ব্যাপী জনসভায় হাজির ১০,০০০ মানুষ
0

ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মাওবাদীদের তিনদিন ব্যাপী জনসভায় হাজির ১০,০০০ মানুষ

ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মাওবাদীদের তিনদিন ব্যাপী জনসভায় হাজির ১০,০০০ মানুষ
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: প্রথাগত রাজনৈতিক জনসভা নয়। রাজনৈতিক ভাষণের পাশাপাশি চলল, নাচ, গান, খেলাধুলো ও নানা সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ। চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখ ছত্তীসগঢ়ের সুকমা ও বিজাপুর জেলার সীমান্তে বড়োসড়ো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করল মাওবাদীরা। সুকমা, বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলা থেকে হাজির ছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। নারয়ণপুর জেলা থেকেও এসেছিলেন অনেকে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের দাবি, প্রায় ৫ বছর পর বস্তার অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এত বড়ো জনসভা করল মাওবাদীরা।

ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ডিএম অবস্থি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন। আরও খোঁজখবর নেওয়া চলছে।

জনসভায় দলের নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন সিপিআই(মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজু, ১ নং ব্যাটেলিয়নের প্রধান মান্ডবি হিদমা, কোসা, দেবজি ও সুজাতা(প্রয়াত নেতা কিষেণজির স্ত্রী)। তবে তিনদিন ব্যাপী জনসভার কোনো ছবি পাওয়া যায়নি। কারণ মোবাইল ফোন নিয়ে কাউকে জনসভায় যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। মনে করা হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই ওই কর্মসূচির ভিডিও ও প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করবে মাওবাদীরা।

কেন এই বিশাল জনসভা? পুলিশের বক্তব্য, গত ডিসেম্বর মাসে মারা গিয়েছেন দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির সচিব রামান্না। রামান্নার স্মৃতিচারণ ও কমিটির নতুন সম্পাদক নির্বাচন ছিল এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি ছিল শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যও। এছাড়া গত ২১ ডিসেম্বর বস্তারে মাওবাদীরা সিআরপিএফের ওপর হামলা চালিয়ে ১৭জন জওয়ানকে মারে। ঘটনাস্থল থেকে তারা যত অস্ত্র লুঠ করেছেন, সেগুলিও জনগণকে দেখানো হয়।  

জনসভায় উপস্থিত এক মহিলা জানিয়েছেন, জনসভার শুরুতে এক নেতা মাওবাদ ও বস্তারের ইতিহাস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

জানা গেছে, শুরুতে বরিষ্ঠ নেতারা রামান্নার উত্তরসুরি নিয়ে আলোচনা করেন। তারপর আলোচনা হয়, কৌশলগত প্রতি আক্রমণ নিয়ে। প্রতি বছরই বর্ষায় কিছু সামরিক কর্মসূচি চালায় মাওবাদীরা। তিনদিন ধরে সভা স্থলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ৩০০ জন সশস্ত্র মাওবাদী ও ৫০০ জন গণ মিলিশিয়া।

তবে পুলিশ কর্তাদের একাংশের ধারণা, এটি কোনো সাধারণ জনসভা নয়। সম্ভবত কোনো উঁচু স্তরের কমিটির সম্মলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই তিনদিনে। সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ ও প্রকাশ্য সভা তারই অংশ।      

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *