ত্রাণকার্য থেকে ত্রাণে দুর্নীতির প্রতিবাদ, সবেতেই পুলিশ ও শাসকদলের আক্রমণের মুখে গণ আন্দোলনের কর্মীরা
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ত্রাণের উদ্যোগ কিংবা ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগে জনগণের প্রতিবাদ- সোমবার সবেতেই পুলিশ ও শাসক দলের আক্রমণের নজির দেখল দক্ষিণবঙ্গ। গণ আন্দওলনের কর্মীদের বাধা শুধু নয়, তাদের আটকে রেখে কর্মকাণ্ড বাতিলের চেষ্টাও চলল। আর এ সবই হল লকডাউন আইনকে কাজে লাগিয়ে।
পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুর ব্লকে জয়েন্ট ফোরাম এগেনস্ট করোনা ক্রাইসিসের তরফ থেকে ত্রাণকার্যের সময় স্থানীয় তৃণমূল ও পুলিশের সন্ত্রাসের সম্মুখীন হয় বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের কর্মী নির্বাণ, শুদ্ধসত্য ও সৌরভ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এদের চন্ডিপুর থানার অন্তর্গত চৌখালি ফাঁড়িতে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত প্রধান।
অন্য দিকে আজ দেগঙ্গার বিডিও অফিসের সামনে ১৩টি গ্রামের মানুষ একশদিনের কাজ, রেশন কার্ড ও আমফানের ক্ষতিপূরণ চেয়ে অবস্থান করছিলেন।দীর্ঘক্ষণ অবস্থান চলার পর তা ভাঙতে জড়ো হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সেই অবস্থানের পাশে থাকায় গণ আন্দোলনের কর্মী জুবি সাহা, শাওন, নাতাশাদের আটক করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
পাশাপাশি এদিন উমপুন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুন্দরবনে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য় টাকা তোলার লক্ষ্যে ধর্মতলার নিউমার্কেট অঞ্চলে জড়ো হয়েছিলেন গণ সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘জনগণমন’র কর্মীরা। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু লকডাউন চলাকালীন এই ধরনের কর্মসূচি বেআইনি বলে পুলিশ তা আটকে দেয়।
গণ আন্দোলন ও মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের ক্ষোভবিক্ষোভ দমানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ত্রাণ দেওয়ার একচেটিয়া অধিকার কেবল রাষ্ট্র, শাসক দল ও স্থিতাবস্থাপন্থী অসরকারি সংগঠনগুলির মধ্যে সীমিত রাখতে চাইছে।
ছবি: প্রতীকী