পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: চরমপন্থী শক্তিরা বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিপথে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। এমনই অভিযোগ করলেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সেনেটর মারকো রুবিও।
রুবিও-র দাবি, রাজনীতির মূলধারা থেকে বহু দূরে থাকা মাওবাদী, মার্কসবাদী অদ্ভুতূড়ে লোকজন আন্দোলনকে হিংসাত্মক চেহারা দিচ্ছে।
শনিবার সকালে সান ফ্রানসিসকোয় প্রতিবাদী জনতা গৃহযুদ্ধের জেনারেল ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস এস গ্রান্টের মূর্তি ভিঙে মাটিতে ফেলে দেয়। রুবিওর বক্তব্য, গ্রান্ট বর্ণবিদ্বেষী ছিলেন না, তার মূর্তি ভাঙার কোনো অর্থ নেই। ‘আমেরিকা বিরোধী মাওবাদী, মার্কসবাদী গুন্ডারা’ এইসব কীর্তি করছে। রুবিওর মতে মাওবাদী, মার্কসবাদীরা আমেরিকাকে ঘৃণা করে।
অন্যদিকে প্রতিবাদী জনতার বক্তব্য, গ্রান্ট দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করলেও তার পরিবারে দাস ছিল। দাসমালিক পরিবারের সঙ্গে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
শুধু গ্রান্ট নয়, শনিবার প্রতিবাদী জনতা আমেরিকার জাতীয় জঙ্গীত রচয়িতা ফ্রান্সিস স্কট কি-র মূর্তিও ভেঙেছে। তাদের বক্তব্য, কী-ও দাসমালিক ছিলেন।
রুবিও বলছেন, এইসব যারা করছে, তারা ‘হিংস্র, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী’। এইসব অতিবামপন্থীরাও ফ্যাসিবাদীবিরোধী সংগঠন অ্যান্টিফাকে পরিচালনা করছে বলে মত ওই সেনেটরের। রুবিও বলছে, অতিবামপন্থীরা দেশের স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চায়। রুবিও অবশ্য মানেন যে, অ্যান্টিফায় বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ রয়েছে। কিন্তু তারা কয়েকটি বিষয়ে একমত। এরা সকলেই পুলিশকে ঘৃণা করে, সরকারকে ঘৃণা করে, দেশকে টুকরো টুকরো করে দিতে চায়। একধাপ এগিয়ে রুবিও বলেছেন, এদের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ চায়।