পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ থামার কোনো লক্ষণ নেই। এর মধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মেক্সিকো। কারণ সেই একই। পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু। তবে এক্ষেত্রে গ্রেফতার হওয়া ৩০ বছরের যুবক জিওভানি লোপেজ কোনো চেনা অপরাধ করেননি। তার দোষ ছিল নিতান্তই নতুন। তিনি মুখোশ না পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন।
বুঝবার, ৪ জুন সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গুয়াদালাজারা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। পরদিন তার পরিবারের লোকজন থানায় তাকে খুঁজতে গেলে বলা হয় সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে যাওয়ার পর জানা যায়, জিওভানি মৃত। তার পায়ে গুলির দাগ থাকলেও ময়নাতদন্তে জানা গেছে মাথার আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।
বৃহস্পতিবার জিওভানির গ্রেফতার হওয়ার সময়কার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এরপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গুয়াদালাজারা।
সরকারি ভবনের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। তারা একের পর এক গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ভবনের দেয়াল জুড়ে গ্রাফিতি আঁকে। দরজা ভেঙে ঢুকেও পড়েন অনেকে।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক চমকপ্রদ ভিডিওয় দেখা গেছে এক বিক্ষোভকারী মোটরসাইকেলে বসা এক পুলিশের গায়ে তরল জ্বালানি ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।
গুয়াদালাজারা শহরটি পশ্চিম জেলিসকো প্রদেশে অবস্থিত। কিছুদিন আগেই রাজ্যের গভর্নর আদেশ জারি করেন, মুখোশ না পরে কেউ রাস্তায় বেরোলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। তখনই মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলেছিল, এর ফলে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করার প্রবণতা বাড়বে। দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশরা এর সুযোগ নেবে।
মেক্সিকোয় পুলিশি নিষ্ঠুরতার ইতিহাস বহু পুরনো।