পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থামার লক্ষণ নেই আমেরিকায়। মিনেসোটা থেকে শুরু হয়ে সেই বিক্ষোভ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা দীর্ঘদিনের নিপীড়নের প্রতিবাদে হিংসাত্মক হয়ে উঠেছেন নিচুতলার কালো গরিব মানুষ। শুধু কৃষ্ণাঙ্গরাই নন, প্রতিবাদ ক্রমেই রূপ নিচ্ছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ আন্দোলনের।
গোটা দেশের মতো মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল গোটা সপ্তাহান্ত। রবিবার হোয়াইট হাউজের আশেপাশে বহু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় ফলক দেওয়াল লিখনে ভরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। তার মধ্যে রয়েছে লিঙ্কন স্মৃতিস্তম্ভ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভও।
শ্বেতাঙ্গা জাতীয়তাবাদ বিরোধী এই আন্দোলনের জন্য গড়ে উঠেছে ‘অ্যান্টিফা’ নামে একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী মঞ্চ। তাতে রয়েছে বিভিন্ন সংগ্রামী বামপন্থী ও নৈরাজ্যবাদী সংগঠন। বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নেওয়ার জন্য এই মঞ্চকেই দোষী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার হুমকিও দিয়েছেন। যদিও সে দেশের আইনজীবীরা বলেছেন, কোনো বিদেশি সংগঠনকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দেওয়ার সংস্থান মার্কিন আইনে থাকলেও, দেশের ভেতরের কোনো সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলার সুযোগ মার্কিন আইনে নেই।
রবিবার ট্রাম্প কোনো অনুষ্ঠানে না বেরোলেও সারাদিন টুইট করেছেন। তাতে লিবারেল জনপ্রতিনিধিদের বিক্ষোভ সামলাতে যথেষ্ট কড়া নাহওয়ার জন্য ধমকও দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর হাতে সীমাহীন ক্ষমতা তুলে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
এদিকে খবরে প্রকাশ, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভের জেরে ট্রাম্পে বেশ কিছুক্ষণের জন্য মাটিন নীচের বাঙ্কারে পাঠিয়ে দেয় সিক্রেট সার্ভিসের কর্তারা। ২০০১-এর টুইন টাওয়ারে হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে ওই গর্ভগৃহে লুকনো হয়েছিল। চলতি বিক্ষোভকে মার্কিন প্রশাসন কতটা গুরুত্ব দিয়েছে, তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
নিপীড়িত মানুষের বিক্ষোভ আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের নাটের গুরুদের মধ্যে।