
পি্পলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ‘যদি করোনা ভাইরাস আমাদের না মারতে পারে, তাহলে সরকার খুন করবে’, বলছিলেন এক বিক্ষোভকারী। আর সেই জন্যই শারীরিক দূরত্ববিধি ভেঙে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোয় বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় ২০০০ মানুষ। বেশিরভাগেরই মুখে ছিল মুখোশ।
আরও পড়ুন: গরিবরা যা পেটের টানে ভাঙে আর মধ্যবিত্ত বিদ্যুতের দাবিতে, তাকেই বলে লকডাউন
করোনা অতিমারির ধাক্কায় সে দেশে দেড় লক্ষ মানুষের চাকরি গেছে। গত সপ্তাহে একথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লেনিন মনেরো। পরিস্থিতি সামলাতে বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। বহু দেশে ইকুয়েডরের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরিতে বেতন কমানো হয়েছে। তারই প্রতিবাদে সোমবার পথে নামেন সে দেশের মানুষ।

শুধু কুইটো নয়। দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখায় ট্রেড ইউনিয়ন, সরকারি কর্মচারী ও ছাত্র-যুবরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়।বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি আহতদের তালিকায় রয়েছে পুলিশও। এই সব শহরের মধ্যে ছিল গুয়াআকুইল-ও। এই শহরটি ইকুয়েডরের করোনা অতিমারির ভরকেন্দ্র।
ঋণ ও অপরিশোধিত তেলের ওপর নির্ভরতার কারণে অতিমারির আগে থেকেই আর্থিক সংকটে ভুগছে ইকুয়েডর। লকডাউনে তা আরও জটিল অবস্থায় পৌঁছেছে। বিক্ষোভকারীদের অবশ্য দাবি সমাজের ওপরতলার লোকদের জীবনে আঁচ না পড়তে দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ নামিয়েছে সরকার।
লাতিন আমেরিকায় করোনা-আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম দিকেই রয়েছে ইকুয়েডর। সে দেশে এখন অবধি প্রায় ৩৭০০০ মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪০০০।