পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মার্চ মাস থেকে মাইনে পাচ্ছেন না। তবু মালিকের ভয়ে নীরব হায়দরাবাদে আটকে থাকা রাজ্যের ১২০০জন নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক।
কিছুদিন আগেই রাজ্যে তৈরি হয়েছে করোনা-লকডাউনের বিপর্যস্ত শ্রমিকদের সাহায্য করার মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম এগেইনস্ট করোনা ক্রাইসিস।ওই ফোরামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হায়দরাবাদের শ্রমিকরা।তারা জানান যে , তাদের কনট্রাকটর মার্চ মাস থেকে মাইনে দিচ্ছেন না । নিজেদের খাওয়া দাওয়া তাদের রোজকার থেকেই ( চুক্তি হিসেবে এই দায়িত্ব কনট্রাকটরেরই) করতে হচ্ছে কিন্তু তারা কেউ তাদের পরিবারকে টাকা পাঠাতে পারছেন না । জানতে পেরে ফোরাম হায়দরাবাদের একটি গণ সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে । তারা হাইটেক সিটি , যেখানে শ্রমিকরা আছেন সেখানে যান । শ্রমিকরা তাদের ভেতরে আসতে বললেও সিকিউরিটি গার্ডরা তাদের ঢুকতে দেয়না এবং তারা বাইরে থেকেই যখন জানতে চান যে তারা কেমন আছেন শ্রমিকরা জানান তাদের তেমন কোন অসুবিধে নেই । এই খবর পেয়ে ফোরামের সদস্যরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ও শ্রমিকদের ফোন করেন। তখন তারা বলেন , কনট্রাকটরের নির্দেশ আছে ভেতরের কথা যেন বাইরে না যায়। গেলে তাদের কাজ এবং আশ্রয়টুকু ও হারাতে হতে পারে । এই শ্রমিকদের মধ্যে সাতজন আছেন কুচবিহারের। কুচবিহারের সহকারী লেবার কমিশনারের সঙ্গে ফোরাম কথা বললে তিনি জানান, ওই ১২০০ জনের নাম , জেলা আর ফোন নং দিলে তিনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন। কিন্তু শ্রমিকরা যদি একথা স্বীকারই না করতে পারেন তাহলে তারও কিছু করার নেই।
এরপর ফোরামের পক্ষ থেকে সিভইল লিবার্টিস কমিটি, তেলেঙ্গনার রাজ্য সম্পাদক নারায়ণ রাওকে মেইল করা হয়। ফোনে কথাও হয়। তিনি তেলেঙ্গনার সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর আশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে দু-একদিনের মধ্যে ওই শ্রমিকদের সাহায্য করবেন। এছাড়া সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে নারায়ণা ফোরামের চিঠি পয়ে শ্রমিকদের বিষয়টি একটি ভিডিও স্টেটমেন্টে প্রচার করেছেন।
ফোরামের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও মেইল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।