পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: নদিয়ার শান্তিপুরে লকডাউনের জেরে গভীর সংকটে দিন কাটাচ্ছিলেন প্রায় ২০০টি দিনমজুর পরিবার। জানতে পেরে তাদের কাছে কিছু ত্রাণ পৌঁছে দিল শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব।
তেলেঙ্গনার ওয়ারাঙ্গলে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন ৭ জন বাঙালি। জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন চেসেঙ্গনার প্যাট্রিয়টিক ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের সদস্যরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকায় ‘ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যুক্ত মঞ্চ’-র তরফে ১১১০টি দিনমজুর পরিবারকে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।(ছবি:প্রচ্ছদে)
উদাহরণ আরও অনেক। আর এই সমস্ত উদ্যোগগুলির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ‘জয়েন্ট ফোরাম এগেইনস্ট করোনা ক্রাইসিস’। ছাত্রছাত্রী, যুব সমাজ, সহানুভূতিশীল ব্যক্তি, সংগঠনদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চে। লক্ষ্য, করোনার জেরে জারি হওয়া লকডাউনে জেরবার মানুষকে যথাসম্ভব সাহায্য করা। এমনকি ভিন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদেরও সাহায্য করছেন তারা সে রাজ্যের বিভিন্ন গণ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শান্তিপুরের শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাব, রানাঘাটের দীপশিখা, মালদার জুভেন্তাস ক্লাব, সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ফূলিঙ্গ, বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের মতো কয়েকটি সংগঠন। এছাড়া অন্যান্য উৎসাহী সংগঠন ও ব্যক্তিদের ফোরামে যোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন সংগঠকরা।
মঞ্চের ঘোষিত লক্ষ্য-
“১. আমরা যে যে এলাকায় বিপদে থাকা মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দিতে যাচ্ছি সেখানকার মানুষ কে তাদের প্রাপ্য রেশনের পরিমাণ সম্বন্ধে সচেতন করা।
২. যাদের রেশন কার্ড নেই তারা যেনো সরকারি নিয়ম মেনে রেশনে পায় তা সুনিশ্চিত করা।
৩. সরকার থেকে দেওয়া রেশনের সাথে ডাল, আলু, তেল, মুড়ি, চিড়ের মতো আরো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
৪. করোনা সংক্রমণ রুখতে অবশ্য প্রয়োজনীয় হলো
মাস্ক এবং সাবান। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের কাছে রেশনে মাস্ক এবং সাবান দেওয়ার দাবি জানাই।
৫.নিজেদের এলাকায় এবং কাছাকাছি এলাকার যে সব পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে আটকে পড়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা এবং তারা যেনো পর্যাপ্ত খাদ্য ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পান তার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অন্যান্য সকল সংগঠন ও উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ র সাথে যোগাযোগ করা এবং তার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যম গুলোর ও সঠিক ব্যবহার করা।
৬.সব পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ঘোষণা করা প্রকল্প গুলোর সুযোগ পায় তা সুনিশ্চিত করা। যদিও এই ঘোষণা করা প্রকল্প গুলিই যথেষ্ট নয়।
৭. এই চরম সংকটে, প্রাপ্য রেশন না পাওয়া অবধি বিপদে পড়া মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়িয়ে, জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে এদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ বজায় রাখা।
অন্যান্য সকল সংগঠ ন, ব্যাক্তি বর্গ যদি আমাদের কর্মসূচির সাথে একমত তো আমাদের এই ফোরামের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা”।
যে কোনো প্রয়োজনে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন দেখে নিন-
আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে এই অ্যাকাউন্টে পাঠান-