পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: কোরোনা মোকাবিলায় সরকারি তহবিলে অর্থ সংগ্রহ করতে দেশের অতি ধনী ব্যক্তিদের থেকে কর সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কোপে পড়লেন ৫০ জন উচ্চ পদস্থ ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস-এর অফিসার। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
লক ডাউনের ফলে কয়েক কোটি মানুষ অনাহার, অর্ধাহারের কবলে পড়লেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে দেশের অতি ধনী, উচ্চবিত্তদের ওপর কোনো মতেই বাড়তি কর বসাতে চায় না, এই ঘটনাটি তার একটি উদাহরণ।
অফিসাররা তাদের প্রস্তাবে বলেছিলেন, লক ডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতির গতি স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকারের কর আদায় ব্যহত হতে পারে। এজন্য বাড়তি কর আদায়ের করতে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ করের মাত্রা বাড়িয়ে আয়ের ৪০ শতাংশ করা উচিত। এছাড়াও বছরে এক কোটি টাকা বা তার বেশি উপার্জন করেন এমন ব্যক্তিদের উপর আরও ৪ শতাংশ হারে কর বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই ৫০ জন তরুণ অফিসার। বিদেশি বহুজাতিক সংস্থাগুলির ওপর ২ শতাংশ হারে সার চার্জ বসানো এবং ফিনান্স পুঁজি বিনিয়োগের ওপর এক কালীন ৪ শতাংশ সেস বসানোর প্রস্তাবও তারা দিয়েছিলেন। মোদী সরকার যেভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে কর ছাড় দিচ্ছে, তা নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এই প্রস্তাবগুলি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাকসেস (সিবিডিটি) এই ৫০ জন অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং প্রস্তাবগুলিকে অবাস্তব বলে আখ্যা দেয়।
পিপলস ম্যাগাজিন আগেই হিসাব করে দেখিয়েছিল কিভাবে অতি ধনীদের ওপর কর বসিয়ে লক ডাউনের ফলে কর্মচ্যুত মানুষদের মাসে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া সম্ভব।