পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলতে থাকা লকডাউনকে কাজে লাগাতে গতিশীলতা বাড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে মাওবাদীদের বিভিন্ন দল দক্ষিণ বস্তারে ঢুকেছে।
সে রাজ্যের প্রশাসন এখন করোনাভাইরাসের অতিমারি সামলাতে ব্যস্ত। ব্যস্ত লকডাউন কার্যকর করতে। এই অবস্থায় এই খবরে নড়েচড়ে বসেছে ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ ও সিআরপিএফ।
খবর অনুযায়ী মাওবাদীরা শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সুকমা জেলা, জগদলপুর জেলার দরভা ডিভিশন এবং দান্তেওয়াড়ার একাংশে ‘এক নাগাড়ে বৈঠক করে চলেছে’।
“তেন্দুপাতার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঠিক করা, পাতা তুলতে গিয়ে আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য গ্রামবাসীদের সংগঠিত করছে মাওবাদীরা”, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস।
প্রথম দফার লকডাউন চলার সময় বিজাপুর জেলার দুএকটি জায়গায় মাওবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য তিন-চারদিন ধরে ফাঁদ পেতেছিল বলে জানা গিয়েছে। লকডাউনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধি এখন কম। এই সুযোগে মাওবাদীরা দান্তেওয়াড়ার রাজপেন্টা এলাকায় ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ ও খুঁটিনাটি খোঁজখবর নিয়েছে।ওই অঞ্চলে মাওবাদীদের বড়ো ধরনের সামরিক অভিযান করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুকমায় মাওবাদীরা একটি কালভার্টও উড়িয়ে দেয়।
দিন কয়েক আগে দান্তেওয়াড়ার মালাঙ্গির অঞ্চলে মাওবাদীরা একটি রাস্তার দশটি জায়গা কেটে দেয়। নিরাপত্তাবাহিনীর ধারণা যৌথ বাহিনীর পোটালি শিবির ও কোনদাসাওলি শিবিরে আক্রমণ করার জন্যই রাস্তা কাটে মাওবাদীদের গেরিলা বাহিনী। ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীরা এইসব কার্যকলাপ চালালেও তাদের মালকানগিরি-কোরাপুট-বিশাখা সীমান্ত ডিভিশনাল কমিটি অবশ্য এর আগেই করোনা-অতিমারির জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। যদিও তারা জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী আক্রমণ করলে তার জবাব দেওয়া হবে।