করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুতি না নিয়ে জনগণকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে সরকার: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের বিবৃতি
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পদ্মা সেতু সহ দেশের যাবতীয় পরিকাঠামো প্রকল্প স্থগিত রেখে সেই অর্থ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কাজে লাগানোর দাবি জানাল পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির উত্তরাঞ্চল শাখা।করোনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে জাতীয় বাজেট ঘোষণা করারও দাবি জানানো হয়েছে পার্টির বিবৃতিতে।বিবৃতিটি দিয়েছেন উত্তরাঞ্চল শাখার মুখপাত্র আ্কবর হোসাইন।
পিবিএসপি-র দাবি, এই ভাইরাসে সারা দুনিয়ার ব্যক্তিমালিকানাধীন সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।আমেরিকা থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্বের মুনাফাকেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিজেকে উলঙ্গ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লিগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সে দেশে যে সর্বদলীয় দূর্যোগ প্রতিরোধ উদ্যোগ হচ্ছে, তাতে যোগ দিতে জনগণকে বারণ করেছে পিবিএসপি। তাঁদের মতে এই উদ্যোগে যোগ দেওয়ার অর্থ ওই দলগুলির জনবিরোধী রাজনীতি ও ব্যর্থতার অংশীদার হওয়া। পরিবর্তে জনগণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দাবি, গত তিন মাসে করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশে কোনো উদ্যোগ নেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। পরিবর্তে ‘জাতীয় বিশ্বাসঘাতক’ শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী পালনে ব্যস্ত থেকেছে। অন্যদিকে লকডাউন ঘোষণার সময় শ্রমজীবী জনগণের জন্য খাদ্যের কোনো ব্যবস্থা করেনি। শ্রমজীবী সহ সারা দেশের মানুষকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
পিবিএসপি মনে করে, বাংলাদেশ সরকার যে সব সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা করছে, সেগুলো সবই ধনী শ্রেণির স্বার্থরক্ষা করছে। সকল মেহনতি-মধ্যবিত্ত-অসহায় মানুষকে রেশনের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
মানবতাবাদী-দেশপ্রেমিক জনগণকে অসহায় মানুষকে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বিপ্লবী রাজনীতিতে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, করোনা-অতিমারির সময়েও বাংলাদেশ সরকার বিরোধীদের ধরপাকড়, খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।