পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: গত ১৭ এপ্রিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে মৃত্যু হল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দি নদিয়ার ইয়াদ আলি হালসানার। মৃত বন্দির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের তরফে এই ঘটনা পরিবারের কাছে সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়।
মৃত ইয়াদ আলি দীর্ঘদিন বহরমপুর জেলে ছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে কোনো চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তবে ঘটনা সেখানেই শেষ নয়।কোনোভাবে মৃত্যুর খবর জানতে পেরে পরিবার দেহ নিতে কলকাতায় এলেও প্রশাসনিক অসুবিধার অজুহাত দেখিয়ে দেহ পোস্টমর্টেম করা হয়নি। সোমবারের আগে দেহ পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন, কমিটি ফর দ্য রিলিজ অব দ্য পলিটিক্যাল প্রিজনার্স(পশ্চিমবঙ্গ)এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। সংগঠনের সম্পাদক সঞ্চিত এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “করোনা অতিমারির কারণে সুপ্রিম কোর্ট জেলগুলো ফাঁকা করতে দীর্ঘ দিন কারাবন্দি থাকা কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিলেও রাজ্য সরকার এ যাবৎ একজনও রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়নি। অথচ খোদ ইয়াদ আলি হালসানা মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ১৪ বছরের বেশি জেলে আটক ছিলেন।
একদিকে রাজ্যের জেলগুলোতে একসঙ্গে গাদাগাদি করে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিনের পর দিন বন্দিদের আটক রাখা হয়। অন্যদিকে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবার বন্দোবস্তটুকুও নেই বেশিরভাগ জেলে। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতি চলার ফলে ইতিমধ্যেই আমরা বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দিকে অকালে হারিয়েছি। অন্যদিকে আজ যখন অতিমারির কারণে সঙ্কট আরও তীব্র তখনও রাজনৈতিক বন্দিদের সুরক্ষা নিয়ে সরকারের কোনও হেলদোল চোখে পড়ছে না”।
ইয়াদ আলি হালসানার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত এবং রাজবন্দি সহ সমস্ত সাধারণ বন্দির জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।