‘বর্তমান সংকটকে সুযোগে পরিণত করাই বিপ্লবী কর্তব্য’, বলছেন কানাডার কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: কানাডায় করোনা অতিমারির বর্তমান অবস্থা নিয়ে রেভলিউশনারি কমিউনিস্ট পার্টি অফ কানাডা(পিসিআর-আরসিপি)- প্রতিনিধিদের এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রেডস্পার্ক ডট এনইউ। আমরা তার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করলাম।
প্র: তিন সপ্তাহ আগে কোভিড-১৯ অতিমারির পরিস্থিতিতে কানাডার অবস্থা নিয়ে আপনাদের সংগঠন একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। তারপর পরিস্থিতি কতটা পালটেছে?
উ- ওই প্রবন্ধে আমরা কী লিখেছিলাম, সেটা আর নতুন করে বিস্তারিত বলছি না। অবশ্যই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর গত দিনগুলিতে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এটুকুই বলা যায়, প্রতি সপ্তাহেই রাষ্ট্র কোয়ারান্টাইনের হার বাড়িয়েছে এবং আমাদের গণ কার্যকলাপ ধাক্কা খেয়েছে।
এমনিতে অতিমারি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কানাডার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুনিয়ার বেশকিছু পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার থেকে ভালো। সেই দেশগুলিতে বলার মতো কোনো ব্যবস্থাই নেই। কানাডায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো সম্পূর্ণ বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নয়। এবং কানাডার জনগণ নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পান। যদিও বেশ কিছু বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছাঁটাই এবং পুঁজিবাদী বাজারের চাপের ফলে পরিকাঠামোয় ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই চিকিৎসা পরিষেবাটা রাষ্ট্রের পক্ষে বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এমনিতেও যথেষ্টা পরীক্ষা হচ্ছে না।
শোষিত এবং নিপীড়িত জনগণের অনেককেই এখনও কাজ করে যেতে হচ্ছে অর্থাত সংকটের বোঝা বইতে হচ্ছে। আর যাদের পেশা নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভাগের মধ্যে পড়ছে না, তাদের বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ে যাচ্ছে, তারা খাবারদাবার কিনতে পারছে না (নিত্য প্রয়োজনীয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় নয়- এই দুটি বিভাগ আমাদের আগের প্রবন্ধটি লেখার সময় স্পষ্ট ছিল না)। যদিও উদারনীতিবাদী সরকার বাড়ি ভাড়া দেরি করে দেওয়া এবং বেকার ভাতার মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে, কিন্তু তা হলেও বিষয়টা বেশ চাপেরই হবে। বহু বাড়ির মালিক টাকা কিছুদিন বাকি রাখার সুযোগ দিয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সরকারের কোনো স্তর থেকেই সেটা আটকানো হয়নি। অর্থাত, যদি ভাড়াটের দিনের পর দিন কাজ না থাকে আর কিছুদিন পর তাদের একসঙ্গে সব টাকা মেটাতে বলা হয়, তাহলে টাকা মেটানোর জন্য বাড়তি সময় পেয়েও কোনো লাভ হয় না। যেসব বাড়ির মালিক টাকা চাইছে এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার ভয় দেখাচ্ছে, তাদের আটকাতেও সরকার কিছু করেনি। এই প্রসঙ্গে বলা ভালো, সরকার জনগণের টাকা জনকল্যাণের বদলে ব্যাঙ্ক আর কর্পোরেট হাউজকে দিতেই আগ্রহী। রাজ্যস্তরের সরকারি সিদ্ধান্তগুলো আরও মারাত্মক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আলবার্তার প্রিমিয়ার জেসন কেনি, জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ বিপুল ভাবে কমানোর পর, এখন, এই অতিমারির মাঝে ঘোষণা করেছে, তেল সংস্থাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদের আরও টাকা দেবে। কারণ ওরা এখন তেল বেচতে পারছে না(যদিও উৎপাদন থেমে নেই)। তারওপর নির্মাৎ শিল্পের মতো এমন বেশ কিছু ক্ষেত্রকে জরুরি বিভাগের মধ্যে রাখা হয়েছে, যেগুলি স্রেফ পুঁজিপতিদের কাছে জরুরি। সর্বহারারা সেখানে প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে এবং সেজন্য তাদের কোনো ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: সাহায্যের পাশাপাশি বিপ্লবের জন্য জনগণকে সংগঠিত করতে হবে, বলছে মার্কিন কমিউনিস্টরা
সবচেয়ে বড়ো কথা, সমাজের সবচেয়ে নিপীড়িত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য পরিষেবায় অন্যদের সমান সুযোগ পায় না। আদিবাসী মানুষ, তাদের দীর্ঘ ঔপনিবেশিক অ্ত্যাচারের ইতিহাসের কারণে এখনও বাকি কানাডার মতো পরিষেবা পায় না। সংকটের সময় সবচেয়ে নিপীড়িত ও অত্যাচারিত জনগণ সবেচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন, কারণ তাদের জীবন প্রকৃত ‘নাগরিক’দের জীবনের থেকে কম দামি বলে মনে করা হয়।
সাম্রাজ্যবাদী নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সীমান্ত-সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে বিষয়টা ছিল কৌতুকের মতো, লোক দেখানো। কানাডা আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছাড়া সকলের জন্য সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর দেখা যায়, কানাডায় নিত্য নতুন কোভিড রোগী আসছে আমেরিকা থেকে। সেই নিয়ে সংবাদপত্রে কৌতুকও বেরোয় যে- কানাডা আমেরিকা ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে করোনাভাইরাস আমদানি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুনতে মজা লাগলেও, বিষয়টা যন্ত্রণার। কারণ ওই নীতি ছিল অভিবাসী-বিরোধী, উদ্বাস্তু-বিরোধী। অভিবাসী-বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীলরা বহুদিন ধরেই এমনটা চেয়ে এসেছে। আর এখন মার্কিন নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেলেও পুঁজির গতিশীলতা বন্ধ করা হয়নি। কারণ পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের জীবনের থেকে পুঁজি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্র: বহু রাষ্ট্রে কোভিড১৯ অতিমারিকে কাজে লাগিয়ে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র নামে বেশ কিছু আইন পাস করা হচ্ছে। যার আসল লক্ষ্য রাষ্ট্রের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা। আপনাদের দেশেও কি এমনটা হচ্ছে?
উ: হ্যাঁ তা হচ্ছে। এই অতিমারিকে ঠেকাতে রাষ্ট্রকে কিছু কাজ করতে হচ্ছে কারণ শাসক শ্রেণিও নিজেদের শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু ওরা যাই করুক, ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাটা বুঝেই করবে এবং এই অতিমারি থেকেও ওরা কিছু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে। শাসক শ্রেণি তাদের মুনাফা কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত, তাই তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা জনগণকে ত্রাণ দেওয়ার চেয়ে সরাসরি বেসরকারি ক্ষেত্র, লগ্নি পুঁজি, ব্যক্তিগত সম্পত্তির প্রতিষ্ঠানগুলিকে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। কিন্তু এটা মনে করা ভুল হবে যে রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সুযোগ খুঁজবে না। যদিও তারা গত কয়েক মাস ধরে অতিমারিকে দেখেও না দেখার চেষ্টা করে গেছে। পুলিসকে অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেসব জায়গায় শ্রমিক ইউনিয়নগুলি আন্দোলন করছিল, সেখানে শ্রম আইন আপাতত বাতিল করা হয়েছে এবং নজরদারি তীব্র করা হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিকে সূত্রায়িত করার সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ কিছু পোস্ট-মডার্ন তাত্ত্বিকরা বলছে, ‘সার্বভৌম জৈবরাজনৈতিক শক্তি’রা যাতে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে, সে জন্যই অতিমারি ঘোষণা করা হয়েছে- এটা অনেকটা প্রতিক্রিয়াশীল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রবাদী তাত্ত্বিকদের মতোই ভাবনা। আমাদের মতে, রাষ্ট্র এখন সাম্রাজ্যবাদের কেন্দ্রে তৈরি হওয়া একটি জরুরি অবস্থা সামলাচ্ছে। কিন্তু সেই সামলানোর ধরনটা একটি সাম্রাজ্যবাদী দখলদার-পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের মতোই।
অবাক করা বিষয় হল, বেশ কয়েকজন ‘বাম’ রাজনৈতিক কর্মী, যারা পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন, তারাও বুর্জোয়া রাজনীতিবিদদের প্রশংসা করছেন এবং সীমান্ত আটকে দেওয়াকে সমর্থন করছেন। যেন পুঁজিবাদী রাষ্ট্র সত্যি সত্যিই জনগণের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত।
এই সব পদক্ষেপের স্বল্পমেয়াদি সমস্যা হল, এই সময় গণ কার্যকলাপ চালানো খুবই কঠিন। আমরা রণনীতিগত রক্ষণাত্মক পরিস্থিতির কাছাকাছি নেই- তার থেকে দূরে রয়েছি- কারণ গত চার বছরে আমাদের পার্টি দুটি সংকটের মধ্যে পড়েছে- ফলে আমরা এই মুহূর্তে পুনর্গঠন ও শুদ্ধিকরণের পর্যায়ে রয়েছি। উপকূল থেকে উপকূলে বেশ কিছু কোয়ারান্টাইন নীতি কার্যকর থাকায় আমরা গণ কার্যকলাপ চালাতে পারছি না। কারণ তার জন্য যে ধরনের সংগঠন লাগে তা আমাদের এখন নেই আর এনপিএ বা পিএলজিএ-র মতো কোনো বাহিনীও আমাদের নেই। এই পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল হল, অতিমারির পর নতুন কিছু ব্যয়সংকোচনের পদক্ষেপ শাসক শ্রেণি করবে। যার মধ্যে দিয়ে জনগণকে সংকটের বোঝা বইতে হবে এবং তার ফলে বুর্জোয়ারা আরও ধনী হবে। কিন্তু যদি আমরা বর্তমান সময়কে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ওই দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল আরও বেশি বেশি মানুষকে আমাদের রাজনীতির কাছে নিয়ে আসার সুযোগ করে দেবে। অর্থাত, আমাদের আন্দোলনের বর্তমান স্তরে অতিমারির স্বল্পমেয়াদি ফলাফল কিছু সমস্যা তৈরি করলেও দীর্ঘমেয়াদে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা আমরা বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলায় কাজে লাগাতে পারব বলে আশাবাদী।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির জনগণকে জোর করে ঘরবন্দি করা হয়েছে এবং প্রচুর মানুষের চাকরি চলে গেছে। ফলে জনগণকে সংগঠিত করার এবং গণ কার্যকলাপ চালানোর বস্তুগত পরিস্থিতিতে নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে।
আমাদের কাজটা কিছু পালটে গেছে কারণ অতিমারির আগে পার্টির সমস্ত শাখা যেভাবে গণকাজ চালাত, তা সব ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। কিছু শাখা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং কোয়ারান্টাইন হয়ে রয়েছে, কিছু সদস্য ভাইরাসের সংষ্পর্শে আসার জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছেন। ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কিছু কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অন্যদিকে কিছু শাখা সংকটের মধ্যেও নিরাপদে কাজ চালাতে পারছে, তারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে আন্দোলন করছে, ত্রাণ দিচ্ছে এবং জনগণের উদ্যোগে সাহায্য করছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমাদের সাসকাতুন শাখা, সেখানকার মানুষদের খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছে। সেখানে তারা প্রচার চালাচ্ছে, ভাড়াটেদের নিয়ে ইউনিয়ন তৈরির চেষ্টা করছে, স্থানীয় আইনজীবী ও আইনের পড়ুয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে, এলাকার বদ বাড়ির মালিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য সরকারের তরফে বাড়তি সময় মেলা সত্ত্বেও যেসব ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাদের সাহায্য করছেন আমাদের কর্মীরা। সেখানকার জনগোষ্ঠী যাতে আগামী দিনে খাদ্য পায়, তার জন্য নিয়ম মেনে চাষের কাজও চালানো হচ্ছে।
ভ্যাঙ্কুভারে কিছু বয়স্ক কমরেড স্বাভাবিক ভাবেই কোয়ারান্টাইনে আছেন। সেখানকার শাখা জনগণকে কিছু সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে। শ্রমজীবী মায়েদের বাচ্চা দেখাশোনায় সাহায্য করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন সর্বহারা নারীবাদী ফ্রন্টের সদস্যরা। মন্ট্রিল শাখা অন্যান্য মাওবাদী গ্রুপগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে ভাড়াটেদের নিয়ে আন্দোলন করছে। যোগাযোগ বাড়ানো এবং আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তারা প্রচুর কাজ করছে। আমাদের সদস্যরা এই কঠিন সময়ে যে কাজগুলি করছে, তার কয়েকটি আপনাদের বললাম।
বর্তমান সংকটকে সাংগঠনিক সুযোগে পরিণত করার পথ খোঁজাই এই সময়ে আমাদের বিপ্লবী কর্তব্য। সেটা জনগণের মধ্যে লেগেপড়ে থেকে কাজের মধ্যে দিয়ে হতে পারে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্যের মধ্যে দিয়ে হতে পারে অথবা অতিমারির শেষে যে ব্যয়সংকোচনের পদক্ষেপগুলি শাসক শ্রেণি করবে, তার জন্য প্রস্তুতির মধ্যে দিয়েও হতে পারে। এটা পরিষ্কার যে এই সংকট পুঁজিবাদের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দেবে, যদিও এটা কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাদ আরও নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ করতে চাইবে। আরও বেশি মানুষ পুঁজিবাদের হিংস্রতার মুখোমুখি হবে, আরও বেশি মানুষ রাজনীতির কাছে আসবে। আর আমাদের পরিষ্কার করে বোঝাতে হবে যে কোনো ভোটবাজ দলই জনগণের ক্ষোভ ও বিরক্তি দূর করতে পারবে না। নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিজেদের শ্রমিক শ্রেণির পার্টি বলে দাবি করলেও তারা এই অতিমারির সময়ে শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষায় কোনো কাজ করেনি। তারা কোনোকালেই নিপীড়িত ও শোষিতদের জন্য কিছু করেনি। যেসব জায়গায় আমাদের সংগঠকরা অতিমারির সময় নিরাপদে গণ কার্যকলাপ চালাতে পারছেন, সেখানে তারা খুব দ্রত জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারবেন। তারা যত বেশি মাত্রায় সেটা পারবেন, তত ভালো।