করোনা-পরিস্থিতিতে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল মাওবাদীরা
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: চলতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল মাওবাদীরা। রবিবার মাওবাদীদের মালকানগিরি-কোরাপুট-বিশাখা ডিভিশনাল কমিটির সচিব কৈলাশম হাতে লেখা এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এই ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনের সুযোগ নিয়ে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় কৃষকদের ওপর পুলিশি সন্ত্রাস, ভিডিও
মাওবাদীরা জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের কোনো কর্মী, পিএলজিএ-র কোনো সদস্য এবং অন্যান্য কোনো গণ সংগঠনের সদস্য নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কোনো আক্রমণ করবে না। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর আক্রমণ করলে প্রতিরোধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৈলাশম। মাওবাদীদের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারের প্রতিক্রিয়াও জানতে চাওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
অন্য একটি বিবৃতিতে কৈলাশম, জনগণকে ভাবতে অনুরোধ করেছেন, কারা তাদের ওপর এই করোনাভাইরাসকে চাপিয়ে দিল। মাওবাদীদের মতে, দুনিয়ার যে সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী শক্তিরা জঙ্গল থেকে খনিজ সম্পদ লুঠ করে, তারাই এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে। মাওবাদী নেতার বক্তব্য, যতদিন পৃথিবীতে শোষণ থাকবে, ততদিন এই ধরনের সংক্রমণের ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা কিছু না করে, ভাইরাস প্রতিরোধে আত্মত্যাগের দায়িত্ব জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
বিশাখাপত্তনম এজেন্সি এলাকার বিভিন্ন গাছে মাওবাদীরা বিভিন্ন হাতে লেখা পোস্টার টাঙিয়েছে। সেগুলিতে জনগণকে বারবার হাত ধুতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে করমর্দন না করতে এবং যতটা সম্ভব মুখোশ পরে থাকতে। মাওবাদীরা জনগণকে দলবেঁধে না থাকতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলেছে। পাশাপাশি পোস্টারে বলা হয়েছে বিয়ে বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান আপাতত এড়িয়ে চলতে। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাওবাদীরা। এছাড়া বলা হয়েছে, খোলা জায়গায় থুতু না ফেলতে, গ্রামে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে, জল ফুটিয়ে খেতে এবং বয়স্ক মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে।