‘সামাজিক দূরত্ব’ তৈরি করে শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ভাঙা যাবে না, ছবির গ্যালারি
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন, অচেনা -কমচেনা মানুষের সঙ্গে অন্তত ১ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
দুনিয়ার মধ্যবিত্ত ও উত্ত মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মানুষ সেই প্রয়োজনীয়তাকে সোশাল ডিসট্যান্সিং বা ‘সামাজিক দূরত্ব’ নামে চিহ্নিত করেছেন।
ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভোগবিলাসময় জীবনে অভ্যস্ত ওই শ্রেণি এমনিতেই সমাজের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে ছোটো গণ্ডিতে মেলামেশা করেন। তাদের সেই জীবনচর্যাই ছাপ ফেলেছে ওই শব্দ চয়নে।
ওই শব্দবন্ধ বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিও।
করোনা-আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে শ্রমজীবী মানুষের সংঘবদ্ধতাকে ভাঙার কৌশল হিসেবেও কাজ করছে ওই শব্দবন্ধটি।
কিন্তু উৎপাদনের জন্য সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই শ্রমজীবীরা শিখে নেয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেও সামাজিক সংহতি বজায় রাখার কৌশল।
সেখানে শারীরিক দূরত্ব, শ্রমের সামাজিকীকরণে কোনো বাধা তৈরি করতে পারে না।
আমাদের এই ছবির গ্যালারি সামাজিক উৎপাদনের বিভিন্ন মুহূর্তকে তুলে ধরার চেষ্টা, যেখানে শারীরিক দূরত্ব উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ।
#জনতা_জানে শারীরিক দূরত্বের মানে। সাম্রাজ্যবাদের ভাইরাস মেহনতি মানুষের ঐক্য ভাঙতে করোনাকে কাজে লাগাতে পারবে না।
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত