মহামারি সেখানেই পা ফেলে যেখানে দেশ-কাল-সমাজ আগে থেকেই জীর্ণ, বলছে ইতিহাস
এই মুহূর্তে সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এক ভয়াবহ যুদ্ধে রত। এই মহা সংকট কবে কাটবে এখনো জানা নেই। কোনো জায়গায়(তা একটি শহরও হতে পারে, আবার দেশও হতে পারে)একটি রোগ যদি ‘প্রত্যাশিত হার’-এর থেকে পরিষ্কার ভাবে অনেক বেশি দেখা যায়, তখনবলা যায় সেই জায়গায় ওই রোগের মহামারি হয়েছে। এই ‘প্রত্যাশিত হার’ সাধারণত ঠিক করা হয় গত দশ বছরে সেই জায়গায় রোগের গড় হারের উপর ভিত্তি করে। আর এই মহামারি যদি বিরাট কোনো ভৌগোলিক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে বলে ‘প্যানডেমিক’ (Pandemic)বা অতিমারি। করোনা ভাইরাস রোগ এই মুহূর্তে একটি ‘প্যানডেমিক’ (Pandemic)।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে করোনাকে কাজে লাগাতে পারে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা, সতর্কতা জরুরি
মানুষের সভ্যতাকে যুগে যুগে চুরমার করে দিয়েছে প্লেগ,কলেরা, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মহামারি। এখানে আমাদের দেশের দুটো বড়ো মহামারির কথা বলবো।
(১) প্লেগ
আমাদের দেশে প্লেগের প্রথম নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় ১৮১২ সালে গুজরাতের কচ্ছ আর সিন্ধ প্রদেশে। করোনাভাইরাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহামারি আইন, ১৮৯৭ লাগু করেছে। এই আইন তৈরি হয়েছিলো ১৮৯৬-৯৭-এর বোম্বাইয়ের প্লেগের সময়ে। নানা কারণে ঐতিহাসিক হয়ে রয়েছে এই প্লেগ। প্রথম বছরে মূলত বোম্বাইতে সীমাবদ্ধ থাকলেও ১৮৯৯ সালের মধ্যে প্লেগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯০৩-এর শেষ ভাগ অবধি সরকারি হিসাবেই প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। আসল সংখ্যাটা, বলাবাহুল্য অনেক বেশি ছিলো।
প্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৬ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টি. আর. ফ্রেজারের নেতৃত্বে প্লেগ কমিশন তৈরি করে। অবশ্যই এর মূল কারণ ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে ভারতের অবস্থান। নাহলে কয়েক লক্ষ ‘নেটিভ’-এর প্রাণের মূল্য ব্রিটিশদের কাছে বিশেষ কিছু ছিলো না। তার প্রমাণ পাওয়া যায় ‘মহামারি আইন,১৮৯৭’ বলবৎ করার সময়ে। এই আইনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের যে কোনো লোকের বাড়িতে ঢুকে যে কাউকে তল্লাশি করার, রোগী সন্দেহ হলে হাসপাতালে তুলে নিয়ে যাওয়ার এবং যে কোনো জাহাজ বা ট্রেনকে আটকে দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিলো। সেই ক্ষমতার জোরে দলে দলে মানুষকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়, মহিলাদের প্রকাশ্যে তল্লাশি করা শুরু হয় ও জীবাণু মুক্তির নামে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হলে সেনাবাহিনী নামিয়ে তা দমন করা হয়।
এই ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বাল গঙ্গাধর তিলক তাঁর সম্পাদিত ‘কেশরি’ পত্রিকায় একাধিক প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে ভগবৎ গীতা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন কোনো পুরস্কারের আশা না করে অত্যাচারীকে হত্যা করলে কোনো অপরাধ নেই। ২২ জুন, ১৮৯৭ সালে পুণার দুই ভাই, দামোদর চাপেকর ও বালকৃষ্ণ চাপেকর প্লেগ কমিশনার র্যান্ড ও অফিসার আয়ার্স্টকে গুলি করে হত্যা করেন। বিচারে চাপেকর ভাইদের ফাঁসি হয় ও তিলককে রাজদ্রোহের অপরাধে ১৮ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ১৮৯৯ সালের কলকাতার প্লেগের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়ে গিয়েছে ভগিনী নিবেদিতা ও রামকৃষ্ণ মিশনের নাম। স্বামী বিবেকানন্দ নিজে প্লেগের প্ল্যাম্ফলেট তৈরি করেছিলেন। নিজের হাতে রাস্তার জঞ্জাল সাফ করা থেকে ইংরাজি সংবাদপত্রে প্লেগ রিলিফের কাজে অর্থ সাহায্য প্রার্থনা করা; জীবনের তীব্র ঝুঁকি নিয়েও নিবেদিতা ও তাঁর সহকর্মীদের, বিশেষত স্বামী সদানন্দর এই আত্মোৎসর্গ ইতিহাসে ক্ষোদিত হয়ে রয়েছে। বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় মানবতাবাদী নাস্তিক চরিত্র, রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসের শচীশের জ্যাঠামশায় জগমোহনেরও মৃত্যু হয়েছিলো অন্ত্যজ মুসলিম প্লেগ রোগীদের সেবা করতে গিয়ে।
অবশ্য একথা ঠিক, প্লেগের ইতিহাস সবটাই নেতিবাচক নয়। বোম্বাইতে হ্যাফকিনের গবেষণা প্লেগের সংক্রমণ নিয়ে অনেক নতুন তথ্য তুলে ধরে। হ্যাফকিনের আবিষ্কার প্লেগের টীকা সেই সময় বহুল পরিমাণে ব্যবহার করে কিছুটা সুফল মিলেছিলো। অবশ্যই প্লেগের মূল কারণ ছিলো শহরের অতি নিম্নমানের আবর্জনা নিকাশি ব্যবস্থা,যা ১৯০৪ সালের প্লেগ কমিশনের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছিলো। সরকার নিজের ব্যর্থতার দায় যতদূর পেরেছিলো সাধারণ মানুষের ঘাড়ে ফেলেছিলো। বর্তমান সময়ের সঙ্গে কি আশ্চর্য মিল, তাই না?
(২) কলেরা
কলেরা মহামারির সঙ্গে যে ভাবে সারা পৃথিবীর, বিশেষত আবার বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতি যুক্ত হয়ে রয়েছে, তার সঙ্গে বোধহয় আর অন্য কোনো মহামারির তুলনা চলে না। ব্রিটিশ আমলেই বারবার কলেরার হানায় বাংলাদেশের গ্রাম-কে-গ্রাম উজাড় হওয়ার কাহিনি সমসাময়িক সমস্ত সরকারি নথিতে তো বটেই, প্রায় সব সাহিত্যিকের রচনায় ছাপ ফেলেছে। ১৮১৭ সালের আগে কলেরা মূলত ছিলো বাংলাদেশের মহামারি। কিন্তু এরপর থেকে তা সারা ভারতে, এমনকি বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও, কলেরা নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা শুরু হয় যখন সেনাবাহিনীর মধ্যেও কলেরা ছড়িয়ে পড়ে।
১৮৬৮ সালের মহামারির পরে সরকার কলেরা কমিটি তৈরি করে। এই কমিটি কলেরার সংক্রমণ পদ্ধতি এবং প্রতিরোধের উপায় নিয়ে গবেষণা করে। এই কমিটিই প্রথম লক্ষ করে কলেরার সংক্রমণ সব থেকে বেশি হয় যখন এক জায়গায় অনেক জনসমাগম হয়, যেমন ধর্মীয় মেলা বা জেল বা সেনানিবাস।
ভারতীয় কলেরার সঙ্গে যুক্ত আছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বহুদিন ধরে বিদেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে ধারণা ছিলো কলেরা বাতাসবাহিত রোগ। বলা হত, বদ্ধ, অস্বাস্থ্যকর জলাভূমি থেকে ‘মিয়াজমা’ (miasma)নামে এক ধরনের বায়বীয় পদার্থ বার হয় যা কলেরার সংক্রমণ ঘটায়। অন্যদিকে একদল বিজ্ঞানী সঠিক ভাবে বুঝেছিলেন কলেরার বাহক বাতাস নয়, জল ও খাবার। আধুনিক জীবাণুবিদ্যার তখনও জন্ম হয়নি। এই নিয়ে ইংল্যান্ডের দুই চিকিৎসক জন স্নো, যিনি আধুনিক মহামারি বিদ্যার (Epidemiology) প্রতিষ্ঠাতা এবং উইলিয়াম ফারের মধ্যে বিতর্ক বিখ্যাত হয়ে আছে। ফার ছিলেন ‘মিয়াজমা’ তত্বের সমর্থক আর স্নো প্রমাণ করেছিলেন কলেরা জলবাহিত রোগ। এই বিতর্ক শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক নয়, কলেরা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সঠিক পদ্ধতি উদ্ভাবন, অর্থাৎ হাজার হাজার মানুষের জীবনের উপর নির্ভর করেছিলো। কাজটা সহজ হয়নি, কারণ ফার ছিলেন জনস্বাস্থ্যের রাশিবিজ্ঞানী ও অনেক বেশি প্রভাবশালী। তবুও চিরন্তন ক্ষমতার এই দ্বন্দ্বে জয়ী হয়েছিলেন জন স্নো-ই। কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে ব্রড স্ট্রিটের কলেরার জীবাণু দূষিত জলের কল বন্ধ করে দিয়ে স্নো ১৮৫৪ সালের লন্ডনের কলেরা মহামারি থামাতে পেরেছিলেন।
শাসকের দেশের এই মতবিরোধ আমাদের দেশেও এসে পৌঁছেছিলো। প্রথম বিতর্ক বাধে জেমস এল.ব্রিডেন, ভারতের প্রথম মহামারিবিদ এবং এ.সি. ডেরেনজি, পাঞ্জাবের স্যানিটারি ইনস্পেক্টরের মধ্যে। পরবর্তীকালে ১৮৭১ সালে মাদ্রাজের স্যানিটারি ইনস্পেক্টরডব্লিউ আর.কর্নিশ সেকান্দ্রাবাদের সেনা ব্যারাকে এক বিধ্বংসী কলেরা মহামারি, যাতে এক মাসের মধ্যে ১১৫ জন মারা যায়, তার উপর বিশদ গবেষণা করেন যাতে কলেরার জল-সংক্রমণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সন্দেহ নেই কলেরা নিয়ে এই বিভ্রান্তি আমাদের দেশের কলেরাজনিত ক্ষয়ক্ষতি বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছিলো। সব বিভ্রান্তির অবসান ঘটে যখন বিশ্ববিখ্যাত জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কখ ১৮৮৪ সালে কলেরার জীবাণু ‘ভিব্রিওকলেরি’ (Vibrio cholerae) আবিষ্কার করেন। ইজিপ্টে শুরু করলেও কখ এই কাজ শেষ করেন বোম্বাই এবং কলকাতায়। যদিও ইতালিয়ান বিজ্ঞানী ফিলিপো পাচিনি ১৮৫৪ সালে এই জীবাণু আবিষ্কার করেছিলেন, কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর গুরুত্ব জানা যায় কখের অবিষ্কারের পরেই।
অবশ্য এও ঠিক, জীবাণু আবিষ্কার আমাদের দেশের কলেরায় মৃত্যু ঠেকাতে পারেনি। অনেক পরে, ১৯৭০-এর দশকে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন(ওআরএস)-এর অবিষ্কার এবং কলেরা জীবাণুর নিজস্ব কিছু পরিবর্তনের ফলে আস্তে আস্তে আমাদের দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব কমতে থাকে।
বিখ্যাত জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানী রুডলফ ভিরচো বলেছিলেন,
“Epidemics are a reflection of the disturbances in the social system”.মহামারির জীবন-মৃত্যুর দড়ি টানাটানি আমাদের দেশ-কাল-সমাজকে যে চূর্ণ করে দেয় তা চোখে দেখা যায়, যা দেখা যায় না তা হলো মহামারি সেখানেই পা ফেলে যেখানে দেশ-কাল-সমাজ আগে থেকেই জীর্ণ। করোনা আমাদের একবিংশ শতাব্দীর চরম বৈষম্যদীর্ণ পৃথিবীর আসল রূপ আবার একবার সামনে আনলো, যেখানে আমেরিকা এবং চীন- সমসাময়িক বিশ্বের দুই সব থেকে বড়ো সামরিক শক্তিধর দেশ আসলে কতোটা দেউলিয়া আমরা বুঝতে পারলাম। সোশাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দেখলাম, “Historians will write that every nuclear power in the world faced a shortage of ventilator in 2020” (Ali Hasanain).
প্রফেটিক!
লেখকের দুর্বলতা এখানে যে তিনি দেশের জীর্ণতাই প্রকট হয় মহামারির সময়, এই কথা উল্লেখ করলেও তার যে ব্যাখ্যা হতে পারত – ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত থেকে এবং এপিডেমোলজির প্রেক্ষিত থেকে – কোনোটাই যথাযথভাবে করা হয়নি। শুধু পাওয়া যাচ্ছে বম্বের প্লেগের সময় পুলিশি অত্যাচার ও কলেরার সময় ওয়েস্টার্ন মেডিসিনের একটি দার্শনিক অবস্থান (মিয়জমাটিক তত্ত্ব) এর কারণে কলেরা রোগ দমনে সরকারের ব্যর্থতা এবং তারপর কীভাবে কিছু ইতিবাচক গবেষণা হয়েছে এবং কীভাবে জীবানুরচরিত্রবদলের ফলে অসুখ দূর হয়েছে। অথচ মূল যে বিষয়টি আশা করছিলাম, সেটা হল সরাসরি ভাবে জনস্বাস্থ্যের সাথে মহামারির সম্পর্ক, যে বিষয়ে লেখক আলোকপাত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এপিডেমোলজির ইতিহাস খুব স্পষ্টভাবে দেখায় যে কীভাবে বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহৎ মহামারি – ইউরোপের চতুর্দশ শতকের প্লেগ, যাকে ব্ল্যাক ডেথ বলা হত – সেই দেশের মানুষের সেইসময়কার দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে সরাসরি যুক্ত। কীভাবে তার আগের জনসংখ্যা কমে যাওয়া দুর্ভিক্ষে, ফলে বাড়তি করের বোঝা বাকি কৃষকদের ঘাড়ে এসে পড়া, খাবারের ঘাটতি – ইত্যাদির ফলে (অর্থাৎ শাসকের প্রত্যক্ষ নীতির ফসল যা) এই সময়ে যারা বেড়ে উঠছিল, তাদের শরীর গড়ে ওঠার ফর্মেটিভ সময়ে পুষ্টির ঘাটতি একটা বড় অংশের মানুষকে শারীরিকভাবে দূর্বল করে দেয়। যার ফলে ব্ল্যাক ডেথ ওরকম বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। ভারতের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখতে পোয়া যায়। যদি শহর দেখি, তাহলে ‘ব্ল্যাক টাউন’ এর ইতিহাস খুবই শপষ্টভাবে দেখায় যে ভারতীয়দের প্রতি বিদেশী উপনিবেশিক শাসকের অবহেলা দেশীয়দের স্বাস্থ্যর উপর কী চরম প্রভাব ফেলেছিল। এর সাথে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, দুর্ভিক্ষ এগুলোকেও নিয়ে ভাবা দরকার ছিল – যে কীভাবে সরকারি নীতি ব্যপক অংশের জনতাকে ঠেলে দিয়েছে দূর্বল শরীরি গঠন নিয়ে বেড়ে ওঠার দিকে, এবং কীভাবে নোংরা পরিবেশে তাদের থাকতে বাধ্য করা জন্ম দিয়েছে নানান রোগের। দেশের ইতিহাসের নিরীখে সেই আলোচনা দরকার ছিল, অন্তত শিরোনাম থেকে সেটাই প্রত্যাশা করছিলাম। তার কিছুই পাওয়া গেল না। শুধু শেষ অনুচ্ছেদে একটা উদ্ধৃতি বসিয়ে শিরোনামের সাথে লেখার সাযুজ্য বজায় রাখার প্রয়াস চোখে পড়ল।
একটা তথ্যগত ভুল রয়েছে। ভিব্রিও কলেরী জীবাণু রবার্ট কক নয়, ফিলিপো পাচিনি খুঁজে পেয়েছিলেন, ককের প্রায় বছর তিরিশ আগে।