ভারতে কম শিক্ষিত মহিলাদের কাজের সুযোগ থাকলেও মাঝারি শিক্ষিতদের জন্য নেই: বিশ্বব্যাঙ্ক
পি্পলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: যদি আপনি মাঝারি শিক্ষিত মহিলা হন, তাহলে এ দেশে আপনার কাজের সুযোগ নেহাতই কম। আপনার তুলনায় কম শিক্ষিত এবং বেশি শিক্ষিতদের কিন্তু এই সমস্যা নেই। এমনই এক তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের ‘অ্যানালাইজিং ফিমেল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক রিপোর্টে। ভদ্রস্থ কেরানির চাকরি এবং খুচরো কেনাবেচার ক্ষেত্রগুলিতে কম মহিলা কর্মচারীর নিয়োগের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অথচ দুনিয়া জুড়ে এই দুটি ক্ষেত্রই মাঝারি শিক্ষিত লোকদের প্রধান কর্মসংস্থানের জায়গা। দুটি ক্ষেত্রই উল্লেখযোগ্য ভাবে মহিলা কর্মচারীদের দখলে।
বিশ্বব্যাঙ্ক মনে করছে, ভারতে যে সব গৃহবধূরা চাকরি করতে চান, তারা যদি সকলে চাকরি করতেন, তাহলে মহিলা শ্রমশক্তির পরিমাণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেত। যে সব ক্ষেত্রগুলি শিক্ষিত মহিলাদের কাজের উপযোগী, সেগুলিতে মহিলারা যোগ না দেওয়াতেই ভারতের শহরগুলিতে মহিলা শ্রমশক্তির পরিমাণ কমে গিয়েছে।অথচ ভারতে কাজের বয়সসীমার মধ্যে থাকা মানুষের মধ্যে স্নাতকস্তর অবধি পড়াশোনা করেছেন, এমন শ্রমশক্তির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুন হয়েছে।
ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিসরে লিঙ্গ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সরাসরি ধর্ম, বর্ণ ও এলাকার সঙ্গে যুক্ত।তাই জাতি, ধর্ম, এলা ও সামাজিক অবস্থা অনুযায়ী ভারতে মহিলা শ্রমশক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক তফাত চোখে পড়ে। ভারতে কোনো মহিলা কাজে বেরোবেন কিনা তা অনেকটাই তাঁর স্বামীর মনোভাবের ওপর নির্ভর করে। তাদের কাছের মানুষজন ঘরের মহিলার বাইরে কাজ করা সম্পর্কে কী দৃষ্টিভঙ্গি নেবে, সেটার ওপর নির্ভর করে সেই পুরুষের মনোভাবে।সহজ কথায় বললে, কারও বউ চাকরি করলে যদি সেটা ব্যক্তির সম্পর্কে কাছের মানুষদের মনে খারাপ ধারণা তৈরি করে, তাহলে আর সেই ব্যক্তির স্ত্রীর চাকরি করা হয়ে ওঠে না।