Home খবর ২০১০-এর এনপিআরেও বাবা-মায়ের জন্মের তারিখ ও স্থান জানা হয়েছিল

২০১০-এর এনপিআরেও বাবা-মায়ের জন্মের তারিখ ও স্থান জানা হয়েছিল

২০১০-এর এনপিআরেও বাবা-মায়ের জন্মের তারিখ ও স্থান জানা হয়েছিল
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: দেশ জুড়ে এনপিআর শুরু হতে বেশিদিন বাকি নেই।গত কয়েক মাসের সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যে বহু মানুষই জেনে গেছেন, এনপিআর-ই নাগরিকত্ব বাছাই অর্থাৎ এনআরসি-র প্রথম ধাপ। ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইনে তেমনটাই বলা আছে।

পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো কয়েকটি রাজ্য বাদে প্রায় সর্বত্রই এনপিআর বা জনসংখ্যা রেজিস্টারের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এই রাজ্যগুলিতে জনগণনার সঙ্গে এনপিআরকে যুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।  এনআরসি-র বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের একাংশ মনে করেন, ২০১০ সালের জনগণনার সঙ্গে কংগ্রেস শাসিত ইউপিএ সরকার যে এনপিআর করেছিল, তেমনটা হলে সেই তথ্য এনআরসি-র কাজে লাগবে না। পঞ্জাবের মতো কংগ্রেস শাসিত কয়েকটি রাজ্যও তেমন দাবি করেছে। এমনতর দাবির পেছনে রয়েছে একটি তথ্য। তা হল, এবারের এনপিআরের ৮টি নতুন প্রশ্ন যোগ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে দুটি প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হল বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান। কারণ নাগরিকত্ব তালিকায় নাম ওঠা বা না ওঠার সঙ্গে বাবা-মায়ের জন্মস্থানের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক।

সম্প্রতি স্ক্রোল ডট ইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদিক শোয়েব ড্যানিয়েল একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। তাতে তিনি দেখিয়েছেন, ২০১০ সালেও ওই তথ্য নেওয়া হয়েছিল, তবে পরোক্ষ ভাবে। যে সব ব্যক্তি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন, তাদের বাবা-মায়ের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেটা জানার পর তাদের বাবা ও মায়ের নাম লিখে, যে সিরিয়াল নম্বরে তাদের তথ্য নেওয়া হয়েছে, সেই সিরিয়াল নম্বরটি লিখে নেওয়া হয়েছিল। সেবার প্রত্যেকের কাছ থেকে আলাদা ভাবে তথ্য নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সহজেই দুই তথ্যকে যুক্ত করে নেওয়া হয়। তবে যারা বাবা-মায়েরসঙ্গে থাকেন না বা যাদের বাবা-মা মারা গিয়েছেন, তাদের থেকে ওই তথ্য চাওয়া হয়নি। ফলে ২০২০ সালের এনপিআরের সঙ্গে ২০১০ সালের এনপিআরের তফাত সামান্যই।

বর্তমান সরকারও সংসদে এ কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এনপিআরের কাজ সহজ করার জন্যই এবারের প্রশ্নপত্রে আলাদা করে বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান জানা হচ্ছে, কাজের সুবিধার জন্য। প্রকৃতপক্ষে, ২০১০ সালের এনপিআরের ভিত্তিতেও এনআরসি করাই যেত। কারণ, ২০০৩ সালের যে নাগরিকত্ব আইনের বলে এনআরসি-এনপিআর হতে চলেছে, তাতে এনআরসি করার জন্য আলাদা করে বাবা-মায়ের জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

অতএব যারা এনআরসি বিরোধী আন্দোলন করছেন, ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল করার দাবিই তাদের একমাত্র দাবি হওয়া উচিত। কোনো বিকল্প এনপিআরের দাবি নয়। এনআরসি বিরোধিতার সঙ্গে এনপিআর বিরোধিতা অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত।      

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *