পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কের জেরে বিড়ম্বনায় বিজেপি শাসিত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। কারণ রুপানির জন্ম ভারতে হয়নি। ১৯৫৬ সালে বার্মায়(বর্তমানে মায়ানমার) জন্ম হয়েছিল তার। ১৯৬০ সালে তার বাবা-মা তাকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন।
গত ১০ জানুয়ারি গুজরাট বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়। তখনই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেস বিধায়করা।
গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাওদি বলেন, যেহেতু রুপানির জন্ম বার্মায়, তাই তাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হতে পারে। তার মতে, যদি স্বাধীনতার পর ভারত সরকার এই ধরনের আইন কার্যকর করত, তাহলে গুজরাট বার্মায় জন্মানো কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে পেত না। কিন্তু যেহেতু তেমন কিছু ছিল না, তাই রুপানি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় তারা নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখতে চাননি।
অমিতের এই বক্তব্যে দৃশ্যতই বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, তার জন্মের সময় তার বাবা ও মায়ের বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল। জন্মের পরপরই সেই পাসপোর্টে বিজয়ের নাম যুক্ত করে দেওয়া হয়। তিন বছর পরেই তারা ভারতে চলে আসেন। তাই তিনি জন্মসূত্রেই ভারতীয়।
এরপর নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি প্ল্যাকার্ড ও সিএএ-র প্রতিলিপি হাতে নিয়ে ওয়েলে নেমে আসেন। সেখানে সিএএ-র প্রতিলিপি ছেঁড়েন এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখতে চান।
পরে সাংবাদিকদের জিগনেশ বলেন, রাজ্যে এনপিআর শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের নাগরিকত্বে প্রমাণ করতে হবে- এই ছিল তার দাবি। রুপানি ও তার বাবা-মা যেহেতু বার্মা থেকে ভারতে এসেছেন, তাই তিনি কীভাবে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করবেন, এটা জিগনেশ বুঝতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, বিজয় রুপানি যে সময় ভারতে এসেছেন, তৎকালীন নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ভারতে জন্মালেই লাগরিকত্ব পাওয়া যেত। তা না হলে, নির্দিষ্ট সময় ভারতে বাস করার পর নাগরিক্তবের জন্য আবেদন করতে হওয়ার কথা। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন সরকার কার্যকর না করায়, তা কাউকেই করতে হয়নি। কিন্তু এখন এনপিআরে এই বিষয়গুলি সামনে আসবে।