Home খবর ইউপিএ-র তৈরি এনআইএ আইন ‘অসাংবিধানিক’, মামলা ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের

ইউপিএ-র তৈরি এনআইএ আইন ‘অসাংবিধানিক’, মামলা ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের

ইউপিএ-র তৈরি এনআইএ আইন ‘অসাংবিধানিক’, মামলা ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: একদিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে কেরলের বাম সরকার। এবার আরও একটি কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকল একটি রাজ্য সরকার। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-১ সরকারের তৈরি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা আইনকে অসাংবিধানিক দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে গেল ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার। আইনটি পাস হওয়ার ১২ বছর পর।

আরও পড়ুন: সিএএ নিয়ে প্রচার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পালালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী

২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রেক্ষিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে তৈরি হয় এনআইএ আইন। তখন সংসদে ইউপিএ শরিক তো বটেই অধিকাংশ বিরোধী দলও এই বিল পাশে সমর্থন দিয়েছিল। গত ১২ বছরে এই আইনের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি। মামলায় দাবি করা হয়েছে, এনআইএ আইন ‘অসাংবিধানিক’ এবং এর ফলে রাজ্যের সার্বভৌমত্ব খর্ব হচ্ছে।

ছত্তীসগঢ় সরকারের বক্তব্য, ‘‘এনআইএ আইন কোনও ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের তদন্ত করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের হাতে দিয়েছে একচ্ছত্র ও স্বেচ্ছাচারের ক্ষমতা। সংবিধানে রাজ্যগুলির যে স্বায়ত্বশাসনের কথা বলা হয়েছে, এনআইএ আইন তার পরিপন্থী।’’

আমেরিকার এফবিআই-এর ধাঁচে তৈরি এনআইএ। সিবিআই-এর চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর সম্পূর্ণ স্বায়ত্বশাসিত এই বাহিনী মূলত জঙ্গি কার্যকলাপ বা জঙ্গি হানার তদন্ত করে। কোথাও জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটলে বা জঙ্গি কার্যকলাপের তদন্ত করতে যে কোনো সময় যে কোনও রাজ্যে যেতে পারেন এই বাহিনীর গোয়েন্দারা। যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করতে পারেন তাঁরা। তদন্ত বা গ্রেফতারি, কোনও ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয় না এনআইএ-কে। এই নিয়েই অভিযোগ ছত্তীসগঢ় সরকারের।

ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা থাকলেও বাস্তবে কেন্দ্রের হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া আছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ জানিয়েছে বাম দলগুলি সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার। কিন্তু কংগ্রেসের মতো শাসক শ্রেণির পুরনো বিশ্বাসভাজন দল নিজেদের তৈরি আইনের বিরুদ্ধে মামলা করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ফ্যাসিবাদী বিজেপির শাসনে কংগ্রেসের মতো দলগুলিও যে স্বস্তি বোধ করছে না, এই মামলা তারই প্রমাণ বলে মনে করছেন তারা।    

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *