পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: রবিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে ওয়ার্কিং কমিটিতে প্রস্তাব পাস করেছে কংগ্রেস। তার একদিন পরই এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কেরলের বাম সরকার। এই আইন ভারতীয় সংবিধানের বুনিয়াদি কাঠামোর বিরোধী- এই দাবিতে আইনটিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে বেশি কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। কিন্তু এই প্রথম কোনো রাজ্য সরকার এই কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আদালতে গেল।
এর আগে কেরল বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৪০ আসনের কেরল বিধানসভার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক বাদে সকলেই সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। বিজেপির দাবি ওই পদক্ষেপ সংবিধান-বিরোধী। কোনো কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে দেশের কোনো বিধানসভা প্রস্তাব পাস করতে পারে না। ওই প্রস্তাব পাস করার পর দেশের ১১টি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে একই পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মঙ্গলবার এই মামলা করার মধ্যে দিয়ে দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে সিএএ-বিরোধিতাকে চূড়ান্ত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল সিপিএম। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সিএএ-বিরোধী দেশজোড়া আন্দোলনের নেতৃত্বে পৌঁছনোর লক্ষ্যেই এই মামলা করেছে বাম সরকার। পাশাপাশি কংগ্রেসকেও সাথে রাখতে চায় তারা। মনে রাখতে হবে, কেরলের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
এদিনের মামলায় কেরল সরকার বলেছে, এই নতুন আইন সংবিধানের ১৪,২১ ও ২৫ নং অনুচ্ছেদের বিরোধী। সংবিধানের বুনিয়াদি কাঠামোরও বিরোধী। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৪ নং অনুচ্ছেদে সাম্যের অধিকার, ২১ নং অনুচ্ছেদে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার এবং ২৫ নং অনুচ্ছেদে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যান্য অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি(বিশেষত কংগ্রেস শাসিত) ওই মামলায় যোগ দেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।