পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ঘোষিত ভাবে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে। তাই গত একমাস ধরে প্রায় উৎসবের মতো সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পরিমাণ খুবই কম। প্রায় সব মিছিল-মিটিং-এই সহযোগিতা করছে পুলিশ। কিন্তু শাসকের বেঁধে দেওয়া নিয়ন্ত্রণরেখার বাইরে গিয়ে আন্দোলন করতে চাইলে কী হতে পারে শনিবার তার প্রমাণ মিলল।
রাজ্যে আসা প্রধানমন্ত্রীকে যাতে সরাসরি বিক্ষোভের আঁচ না পোয়াতে হয়, সে জন্য বিপুল ভাবে সাজা হয়েছিল পুলিশি ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের ধারেকাছে বিক্ষোভকারীদের যেতে দেওয়া হয়নি। বেশিরভাগ বিক্ষোকারী ছিলেন ধর্মতলায়। সেখানে সারাদিন ধরে চলছিল শ্লোগান-মিটিং-গানবাজনা-কালো পতাকা প্রদর্শন। তাও প্রধানমন্ত্রীর জন্য ছিল হেলিকপ্টার। কিন্তু সড়ক পথ হেলিকপ্টারে এড়ানো গেলেও জল পথে বিড়ম্বনা ঠেকানো গেলো না। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে লঞ্চে বেলুড় মঠ যাওয়ার পথে শেষমেশ কালো পতাকা দেখতেই হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বাগবাজার ঘাট থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কালোপতাকা দেখায় রেভোলিউশনারি স্টুডেন্টস ফ্রন্ট নামে একটি নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। চলতে থাকে সিএএ-এনআরসি বিরোধী স্লোগান। অপ্রত্যাশিত বিক্ষোভ ঠেকাতে আরএসএফ নেতা নির্বান ও সার্থককে আটক করে মারধর করে পুলিশ।
আর এক বিক্ষোভকারী আরএসএফ কর্মী শুদ্ধসত্য রায় জানিয়েছেন “মোদি বিরোধী স্লোগানের সময় হঠাৎ আমাদের উপর মারধর শুরু করে পুলিশ। আমাকে মারতে মারতে রেল লাইনে ফেলে চলে যায়। আমি উঠে দেখলাম আমাদের বাকি দুই কমরেডকে পুলিশ মারতে মারতে ভ্যানে তুলছে।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের আশঙ্কা গণ আন্দোলনের চাপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আপাতত এনপিআর স্থগিত রাখার কথা বললেও পরবর্তী কালে তা রাজ্যে কার্যকর করার চেষ্টা করা হবে। সস্তা শ্রমের লোভে আদানি- আম্বানির নির্দেশিত এনআরসি/এনপিআর কর্মসূচির বিরুদ্ধে আমারা শেষ পর্যন্ত লড়ব”। পরে আটক দুই বিক্ষোভকারী ছাত্রকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।