পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলতে থাকা সিএএ-এনআরসি বিরোধী লড়াইকে একমুখী করা এবং নিয়মতান্ত্রিকতার পথে নিয়ে আসার জন্য জোরদার প্রয়াস চলছে শাসক শ্রেণির পক্ষ থেকে। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ- রাষ্ট্রীয় ও ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস-ছাত্র আন্দোলন যাতে শাসক শ্রেণির দলগুলো ও তাদের মতাদর্শের হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, তার জন্য চলছে চূড়ান্ত তৎপরতা।তেমনই একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে সোশাল মিডিয়ায় বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় #ektaroza, অর্থাৎ দেশব্যাপী উপবাস ও শেষে সম্মিলিত ইফতার।এই আহ্বানের সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীকেও যুক্ত করা হয়েছে।১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য জীবনের শেষ অনশনে বসেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। দেশ জুড়ে সব ধর্মের মানুষকে উপবাসকে প্রতিবাদের রূপ হিসেবে গ্রহণ করানোই ছিল তাঁর লক্ষ্য।
১০ জানুয়ারি দিনভর উপবাসের ডাক ছড়িয়ে দেওয়ার পর বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাও সেই বার্তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বলও।
এই ধরনের হঠাৎ আহ্বান থেকেই বোঝা যায়, সিএএ- বিরোধী গণবিদ্রোহকে সংসদীয় নিয়মতান্ত্রিকতা ও গান্ধীবাদের ঘেরাটোপে নিয়ে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। উপবাস দিয়েই বিজেপি-আরএসএসের ফ্যাসিস্ট হামলার উত্তর দেওয়া সম্ভব বলে জনগণকে বিশ্বাস করাতে চাইছে তারা। উপোসের সেফটি ভালভ দিয়ে জনগণের ঘৃণাকে উপশম করানোর মরিয়া প্রয়াস শুরু হয়েছে।