পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: নাগরিকত্ব আইন-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই এ সবের পেছনে মাওবাদী, ইসলামপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই আন্দোলনে ‘আরবান নকশাল’রা সক্রিয় বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু মাওবাদীদের কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে আসেনি। অবশেষে এল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর, মাওবাদীদের পশ্চিম ঘাট বিশেষ জোনাল কমিটির মুখপাত্র যোগী এক বিবৃতিতে আন্দোলনকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর মতে যারা সৌভাতৃত্ব ও বহুত্ববাদে বিশ্বাসী, তারাই সংঘ পরিবারের গোপন এজেন্ডার বিরোধিতায় পথে নেমেছেন। মাওবাদীরা মনে করছে, সিএএ, নাৎসি জার্মানি ও ইজরায়েলের ইহুদি জাতিগর্বী নীতির ধারাবাহিকতা। এই আইন শুধু মুসলিম বিরোধী নয়, বরং সকল ধরনের সংখ্যালঘু ও বিরোধী মতকে ধাপে ধাপে নির্মূল করার লক্ষ্যে একটি পদক্ষেপ। নানা দিক থেকে লড়াই চালিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সিএএ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে তারা। আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকার জন্য তাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছে মাওবাদীরা।
বিবৃতিতে যোগী বলেছেন, দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই সিএএ-এনআরসির সূক্ষ্ণ চাল চেলেছে মোদিশা সরকার। আর এখন জনগণের আন্দোলনকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে চাইছে মোদি-অমিত-যোগী আদিত্যনাথ চক্র। তাদের সাহায্য করছে বড়ো কর্পোরেট হাউজগুলো। তীব্র ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের খবর যাতে বাইরে না বেরোয়, তাই যোগাযোগের সমস্ত মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আন্দোলনকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, যা অভূতপূর্ব।
তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য বললেও চলতি গণ আন্দোলনে তাদের কী ভূমিকা রয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু স্পষ্ট করনি মাওবাদীরা।