পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট মাঁকরের পেনসন সংস্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের বৃহত্তম ধর্মঘট শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। অনেকেই মনে করছেন ধর্মঘট বছরের শেষ অবধি চলতে পারে। অর্থনৈতিক দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হলেও এই ধর্মঘট পুরদস্তুর রাজনৈতিক চেহারা নিয়ে আগামী দিনে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তুলতে পারে বলেও অনেকের ধারণা।
আরও পড়ুন: ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে, স্ফূলিঙ্গ থেকে দাবানলের পথে দুনিয়ার শ্রমজীবী জনতা
বৃহস্পতিবারের ধর্মঘটে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় প্যারিস সহ গোটা ফ্রান্স। পরিবহণ শ্রমিকরা মূলত এই ধর্মঘট ডাকলেও আততে যোগ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, দমকলকর্মী, ছাত্র সংগঠনগুলি।
দেশের তিরিশটি ইউনিয়ন দেশজুড়ে ২৫০টি মিছিল, বিক্ষোভের কর্মসূচি পালন করে।
বহু জায়াগা থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর এসেছে। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে বেধেছে বেশ কিছু এলাকায়। উন্মত্ত জনতাকে থামাতে কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়তে হয়েছে পুলিশকে।
ধর্মঘটের বিরোধিতা না করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে জনগণকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মাঁকরের নতুন পেনসন পরিকল্পনা অনুযায়ী পেনসন পাওয়ার জন্য শ্রমিকদের আগের চেয়ে অনেক বেশি দিন কাজ করতে হবে বলে অভিযোগ। এর আগে ফ্রান্সে ৪২টি পেনসন ব্যবস্থা ছিল। সেটাকে সরল করতে চায় সরকার।
এদিন সকাল থেকেই কর্মস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দেশের ৯০ শতাংশ শ্রমিক। কাজ না করার পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে, নানা জিনস দিয়ে বাধা সৃস্টি করে জনজীবন অচল করে দেন তারা।
এর আগে সবচেয়ে বড়ো ধর্মঘট ফ্রান্স দেখেছে ১৯৯৫ সালে। এবারের ধর্মঘট তাকে ছাপিয়ে গেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
অনির্দিষ্ট কালের এই ধর্মঘট শেষ পর্যন্ত কতদূর যায়, সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা দুনিয়া।