রায় বেরিয়ে গেছে। রামলালা জিতেছেন। না। কে জিততে চলেছেন, তা সঠিক অনুমান করার জন্য কোনো পুরস্কার নির্ধারিত ছিল না। যা মনে করা হয়েছিল, তাই হয়েছে।‘বিতর্কিত’ জমির পুরো এলাকাই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ কোনো হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল- একথা শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ প্রমাণ করতে পারেননি।তাও কেন পুরো জমিটা রাম মন্দির তৈরির জন্য দেওয়া হল, তা বিস্ময়কর। কিন্তু পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মত ভাবে রায় দিয়েছেন।যুক্তি, বিতর্ক, অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে- এই রায় সে সবকিছুরই বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে যা উঠে এসেছে এবং যে রায় হয়েছে, তা পরস্পর বিরোধী। ক্ষমতার কাছে বিচারব্যবস্থার নতিস্বীকারের ঐতিহ্য বহাল রইল। সমস্ত জমিই চলে গেল ক্ষমতাসীন তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীদের হাতে আর এখন ‘মন্দির ওহি বানায়েগা’।
দেখুন: সুপ্রিম কোর্টের রায় কি বাবরি ধ্বংসের ঘটনার যুক্তিসঙ্গত পরিণতি? ভিডিও
এখন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, অযোধ্যার মামলার এই রায় কি ভারতবাসীকে ঘৃণার রাজনীতি, নজরদারি ও গণহত্যার হাত থেকে নিষ্কৃতি দেবে? গেরুয়া শিবিরের সব বড়ো বড়ো নেতা, ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীরা তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। এটা সংখ্যালঘু মুসলমানদের হাড়হিম করে দেওয়ার জন্য হুমকি ছাড়া কিছুই নয়, তারাই ছিলেন বাবরি মসজিদের জমির অপর দাবিদার। ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যার পান্ডা মোহন ভগবৎ সকল আরএসএস কর্মীকে নভেম্বর মাসের যাবতীয় কর্মসূচি ও সভা বাতিল করে হরিদ্বারে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। অন্ধ হিন্দুত্ববাদীরা হিন্দুত্বের বিশাল ঢেউ তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাবরি ধ্বংসের দিনগুলোতে তাদের স্লোগান ছিল,”ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়/কাশি-মথুরা বাকি হ্যায়”-এই স্লোগানে উত্তর প্রদেশের কাশি(বারাণসী)-র জ্ঞান ভাপী মসজিদ ও মথুরার শাহি মসজিদ ধ্বংসের ইঙ্গিত ছিল। এই উদ্যাপন ও আন্দোলনের পুনরুজ্জীবন থেকে শুধু যে কাশি ও মথুরার মসজিদের ওপর অধিকার দাবি করা হতে পারে তাই নয়, ভারতের সমস্ত মুসলিম উপাসনালয়ের ওপরই আক্রমণ নেমে আসতে পারে। অর্থাত রায় যাই হোক, আরএসএস/বিজেপি ঘৃণা,সাম্প্রদায়িকতা ও গণহত্যার রাজনীতি ত্যাগ করার কথা ভাবতেই পারে না কারণ এগুলোই তাদের টিকে থাকার চাবিকাঠি।
কেন্দ্রীয় সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী দিনে কী কী ঘটনা ঘটতে চলেছে দেখুন। ‘হবে কি হবে না’- এই দুশ্চিন্তার দিন শেষ। এবার গোটা নভেম্বর মাস জুড়ে ‘গোদি মিডিয়া’ রাম মন্দির নির্মাণকে ঘিরে গোটা দেশজুড়ে গণ উন্মাদনা তৈরি করবে।এই উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে এবং তাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করা হবে এবং পাস করানো হবে- যাতে মুসলিম জনগণকে সরকারি ভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হবে। তারপর আসবে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জিকরণ বা এনপিআর।যা দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি লাগু করার প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, শুরু হবে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল। জনগণ যখন প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিভাজিত এবং বিতর্কে লিপ্ত থাকবে, সেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে, মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ ও পাস করানো হবে। সরকার একের পর এক জাতীয় সম্পদ বিক্রি করতে থাকবে। এয়ার ইন্ডিয়া, বিপিসিএল, কনকর, বিএসএনএল, ব্যাঙ্কের মতো দেশের মূল্যবান রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র ও শিল্পগুলিকে বেচা চলবে একের পর এক। অর্থাত ৭০ বছরের পুরনো বাবরি-মসজিদ-রাম মন্দির সমস্যার সমাধান শীর্ষ আদালত করলেও, এতে ভারতবাসী ঘৃণার রাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে না। বরং এই রায়ের হাত ধরে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির আরও জঘন্য যুদ্ধের অঙ্গ হয়ে পড়ব আমরা। আজকের রায় ইতিহাসের নিরিখে দেখলে এক ধাপ পিছু হঠা ছাড়া কিছুই নয়। ভারত রাষ্ট্রটিকে যাতে ধর্মান্ধ ও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের ধারক ও বাহকরা সম্পূর্ণ ভাবে দখল করতে পারে, তার পথই সুগম করে দিল শীর্ষ আদালত।
Ye Ek galat faisla hai Q ki Yaha koi Mandir tha aisa koi evidence nhi tha phir Q ye faisla le gaya tha jaha Mosque tha mosque rehne dete Mandir k liye bhi tho 5akar jami de sakte teri na
Right answer
Do not deform History…. every hindu mandir which were prominent in Mediaeval India were demolished wholly or partially by the Rulers and inveders….no one can deny the facts….all the Mediaeval churches in Turkey was also demonised by the inveders…it is proven facts…but it is also pertinent to mention that the world order has changed,one should not quarrel among each other in this modern time discussing Mediaeval anarchy….we must concentrate beyond religion and go scientifically to empower people…